ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দুই কোটির জাল নোট ছড়িয়েছে ১৯ বছরের তরুণ

-ছবিঃ প্রতীকী।

১৯ বছর বয়সী জিসান হোসেন রিফাত। বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে একটি চক্রের কাছ থেকে জাল নোট তৈরি প্রশিক্ষণ নেন। এরপর নিজেই জাল নোট তৈরি করে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করেন। তিনি বাজারে প্রায় দুই কোটি টাকার জাল নোট ছড়িয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে র‌্যাব-১০ এর সিপিসি-১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল বলেন, নিজের তৈরি জাল টাকা সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজ ও গ্রুপে সংযুক্ত হন জিসান। একটি সংঘবদ্ধ চক্র টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে জাল টাকা  তৈরির প্রযুক্তি আদান-প্রদান করত। জাল টাকা বিক্রির পন্থা বলে দিতেন চক্রের সদস্যরা।

 

মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে জাল নোট বিক্রি করা হতো। ফেসবুক গ্রুপে জাল টাকা বিক্রির পোস্ট দেওয়া হতো। এরপর কেউ আগ্রহী হয়ে কমেন্ট করলে তাদের সঙ্গে মেসেঞ্জারে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে জাল নোটগুলো সরবরাহ করতেন চক্রের সদস্যরা।

 

 

জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, ডেমরা এবং নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট সরবরাহ করা হতো।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

দুই কোটির জাল নোট ছড়িয়েছে ১৯ বছরের তরুণ

আপডেট টাইম : ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

১৯ বছর বয়সী জিসান হোসেন রিফাত। বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে একটি চক্রের কাছ থেকে জাল নোট তৈরি প্রশিক্ষণ নেন। এরপর নিজেই জাল নোট তৈরি করে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করেন। তিনি বাজারে প্রায় দুই কোটি টাকার জাল নোট ছড়িয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে র‌্যাব-১০ এর সিপিসি-১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল বলেন, নিজের তৈরি জাল টাকা সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজ ও গ্রুপে সংযুক্ত হন জিসান। একটি সংঘবদ্ধ চক্র টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে জাল টাকা  তৈরির প্রযুক্তি আদান-প্রদান করত। জাল টাকা বিক্রির পন্থা বলে দিতেন চক্রের সদস্যরা।

 

মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে জাল নোট বিক্রি করা হতো। ফেসবুক গ্রুপে জাল টাকা বিক্রির পোস্ট দেওয়া হতো। এরপর কেউ আগ্রহী হয়ে কমেন্ট করলে তাদের সঙ্গে মেসেঞ্জারে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে জাল নোটগুলো সরবরাহ করতেন চক্রের সদস্যরা।

 

 

জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, ডেমরা এবং নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট সরবরাহ করা হতো।


প্রিন্ট