নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চরলক্ষী গ্রামের মাইন উদ্দীন সেলিমের ঝুপড়ি ঘরে বসবাসের নিউজ করার পর সেই বাড়িতে খাবার এবং শীত বস্ত্র নিয়ে হাজির ইউএন ও এবং চেয়ারম্যান। তারা কয়েকটি কম্বল এবং খাদ্য সামগ্রী সহ চেয়ারম্যান নিজ তহবিল থেকে নগদ অর্থ প্রধান করেন।
এসময় ইউএনও বলেন- আমরা আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম যে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের অবস্থিত বিস্তীর্ণ এলাকা একটি জরাজীর্ণ বাড়ি। এবং এই পরিবারের প্রধান প্যারালাইজড রোগি যার কারণে পরিবারে সংসার চালানো কেউ নেই। এবং তাদেরকে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় এ ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন নির্দেশনা হল কোন ব্যক্তি ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না! আর আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন- আমি সেলিমের চিকিৎসার নগদ কিছু টাকা প্রধান করছি এবং কিছু প্রয়োজন হলে তারা আমার সাথে যোগাযোগ করবে।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নুরুন নবী বলেন- আপনারা আমার অফিসে যাবেন আমি আপনাকে একটা পঙ্গু ভাতার ব্যবস্থা করে দিব।
তাদের জন্য কিছু শুকনা খাবার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার শীত বস্ত্র এনেছি। এবং তাদের তাৎক্ষণিক অবস্থা পরিদর্শন করতে করলাম। আর সেলিমের যে বিষয়টা আমরা মিডির মাধ্যমে যেটা জানলাম তাদের জন্য আমরা একটি ঘরের ব্যবস্থা করছি? অতি শীঘ্রই একটি পাকা ঘরের কাজ শুরু হবে ইনশাল্লাহ।
সরকারি অনুদান পেয়ে এবং ঘরের কথা শুনে আনন্দিত পুরো পরিবার। এই ব্যাপারে সেই জরাজীর্ণ ঘরের মালিক সেলিম বলেন- আমি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউএনও এবং চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞ।যে তাদের কারণে আমি নতুন একটা ঘর পেলাম।এবং তারা আমার পাশে দাড়িয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা -ফরহাদ হোসেন, মিজানুর রহমান জিয়া সহ অন্যান নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য -অর্থের অভাবে প্রায় চার বছর ধরে নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। ৬ মেয়ে, ১ ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে জরাজীর্ণ ও ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। ঠিকমতো তিন বেলা খাবারও জোটে না। মাথা নিচু করে করতে হয় ঘরে প্রবেশ। ঘরে দাঁড়ানোর জায়গাও নেই। বিবাহযোগ্য চার মেয়ে থাকলেও অভাবে কারণে তাদের বিয়ে হচ্ছে না। বলছিলাম নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চর লক্ষী গ্রামের মাইন উদ্দীন সেলিমের (৪৯) কথা।
প্রিন্ট