মাগুরা সদর উপজেলার বগিয়া ইউনিয়নের পুখরিয়া আলোকদিয়া আলিম মাদরাসার ছাত্র রায়হান মল্লিকের দাখিল পরীক্ষার ফরম ফিল-আপ না করায় শিক্ষককে ধমক দিলেন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম।আর এতেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন মাদ্রাসা সুপার মোঃ আয়নাল হক। গত বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারী সকাল অনুমান ৮.৪০ টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী পুখরিয়া আলোকদিয়া মাদরাসার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা কে জানান, মাদ্রাসার সুপার মোঃ আয়নাল হককে বলা হলো দাখিল পরীক্ষার্থী ছাত্র রায়হান মল্লিকের পরীক্ষা কেন দিতে পারলো না। তিনি আরও বলেন, দাখিল বোর্ড পরীক্ষার ১ দিন পূর্বে জানতে পেরেছি যে রায়হানের ফরম ফিল আপ হয়নি।
সুপারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে সভাপতি বলেন, সুপার এখন অসুস্থ সে সুস্থ হয়ে ফিরে আসলে আমরা গর্ভনিং বডি ও মাদরাসার স্টাফ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমন্বয় করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বগিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি মেম্বার সদস্য খলিল বলেন, ম্যানেজিং কমিটির তফসিল সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। কেরামত মল্লিক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হয়ে তার ছেলে পরীক্ষা দিতে পারলো না তার ভবিষ্যত কি হবে এটা আমার প্রশ্ন এবং এই সুপার আয়নাল হক বরাবরই একজন ধুরন্দর প্রকৃতির ব্যক্তি।
পুখরিয়া আলোকদিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো: আয়নাল হক বলেন, আমি অসুস্থ আমি এখন কথা বলতে পারছি না। ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তফসিল কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এটা তিনি জানি না বলেন। পরবর্তীতে তার স্ত্রী জানান তিনি এখন অসুস্থ কিছু বলতে পারবেন না। রায়হান মল্লিকের পিতা কেরামত মল্লিক বলেন, সুপার মোঃ আয়নাল হক আমার ছেলের দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য ফরম ফিল আপ বাবদ ৩ হাজার ৫ শত টাকা নিয়ে ছিলো এবং পরবর্তীতে তার রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে কিন্তু ফরম ফিল আপ সে করে দেয়নি।
পুখরিয়া গ্রামের মন্টু মোল্লা জানান, আমাদের পুখরিয়া পাড়ার যে ছেলেটা পরীক্ষা দিতে পারে নাই তাকে নিয়ে সবাই ছেলের পক্ষে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যায়। মাদরাসার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম আমার ডানপাশে বসা ছিলো চেয়ারম্যান মীর রওনক খাটে হেলান দিয়ে বসা অবস্থা কম্বলের মধ্যে, সাইডে বাবুল মাস্টার, নজরুল সর্দ্দার, আলতাফ বসা এবং সুপার আয়নাল হক সোফায় বসা ছিলো। হঠাৎ করে নজরুল ইসলাম চেয়ার থেকে উঠে সুপারকে ধমক দিলে সে কাঁপতে কাঁপতে অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর আমি সভাপতিকে টেনে ধরে নিবৃত করি, তবে তাকে মারধর করা হয়নি।
চেয়ারম্যান ঘটনার সময় খাটে হেলান দিয়ে বসে ছিলো। সে শুধু সুপারকে বলেছে আপনি এরকম কাজ কেন করেন এবং আপনার সমস্ত কাজ কর্মগুলো বেআইনিমূলক।এবিষয়ে বগিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর রওনক হোসেন জুন্নু বলেন, ধমক দেওয়ায় তিনি কাঁপতে কাঁপতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
প্রিন্ট