ঢাকা , শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তানোরে পুকুর ভরাট জনমনে ক্ষোভ ! Logo বরিশাল বিভাগ ফোরামের আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল Logo অসুস্থ কন্যার চিকিৎসার জন্য সর্বস্তরের জনগণের কাছে সাহায্যের আবেদন করছেন পিতা Logo সাংবাদিক মিজানুর রহমান নয়নের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন Logo রাজশাহীর কেশরহাটে পৌর বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল Logo জেনারেল এগ্রোভিট কোম্পানীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করার প্রতিবাদে প্রকৃত মালিকের সাংবাদিক সম্মেলন Logo সালথায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নাটোরের নলডাঙ্গায় ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ Logo কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, লালপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা Logo বাঘায় শাহদৌলা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় মিলন হত্যার মূল আসামি সজীবের কঠিন শাস্তি চান তুষার

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষারের হাত ধরেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেয় সজীব ওরফে এস কে সজীব। আর তখন থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে সজীব। শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের ওপর হামলাসহ নানা অপকর্মের কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার এই কিশোর গ্যাং ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করে থাকেন এমনই অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন সময়।

 

গত ৩১ শে জানুয়ারি সজীব সহ আরো ৫ জন মিলে মিলন হোসেন(২৭) নামের এক যুবককে হত্যার পর লাশ ১০ টুকরা করে পদ্মার চরে পুঁতে রাখে। পরে খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

মিলনকে তিন দিন ধরে খুঁজে না পেয়ে তার স্ত্রী কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি জিডি করেন। জিডির সূত্র ধরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে মিলনের এক বন্ধুকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, আরেক বন্ধু সজীবের নেতৃত্বে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। পরে শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে সজীবসহ আরও চারজনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিলনকে হত্যা করে তার লাশ টুকরা করে পদ্মা নদীর চরে পুঁতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর দিবাগত রাত ২টার দিকে তাদের নিয়ে শহর-সংলগ্ন হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের কান্তিনগর বোয়ালদহে পদ্মা নদীর চরে অভিযানে যায় পুলিশ। রাতভর অভিযান চালিয়ে নদীর চরের বালুর ভেতর চারটি স্থান থেকে মিলনের লাশের নয়টি টুকরা উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র বাঁধবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

হত্যা ও লাশ ১০ টুকরা করে পুঁতে রাখার পর সজীব সহ তার পাঁচ সহযোগীরা সবাই স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছিল।কেউ পালানোর চেষ্টা করেনি।

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সজীব শেখ আটকের আগ মুহূর্তেও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষারের সাথে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক্যালের মাঠে অবস্থান করছিল। সজীব আটকের পর সজীবের ফোনে একাধিক কল আসে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি তুষারের। তখন মোবাইল ফোনটি পুলিশের কাছে ছিল। ইয়াসির আরাফাত তুষার বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

 

সজীবের মা বলেন, ‘আমার ছেলে মারধর-মারামারি করে, এটা ঠিক আছে। তবে হত্যা করতে পারে, এটা বিশ্বাস করি না। তার অনেক শত্রু, কেউ তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তুষারের সঙ্গে (জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি) আমার ছেলে রাজনীতি করে। সে যখন ডাকে, আমার ছেলে চলে যায়। একসঙ্গে বালুঘাটে ব্যবসাও আছে। আমাদের পরিবারের সব খরচও তুষার দেয়। আমাদের বাসায় অনেক ছেলে আসে। সজলও (নিহত মিলনের ব্যবসায়িক অংশীদার ও আসামি) আসতে পারে। নিহত মিলনের সঙ্গে আমার ছেলের কোনো ব্যবসা ছিল না। বন্ধুরা তাকে ডেকে নিয়ে যেতে পারে।’

 

কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার এ বিষয়ে বলেন, আমি একটু ব্যক্তিগত কাজে কুষ্টিয়ার বাইরে আছি। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় সজীবের সঙ্গে তার সম্পর্ক কি? উত্তরে তিনি জানান, আমার সঙ্গে অনেকেই রাজনীতি করে। সজিবও আমার সঙ্গে থাকে। রাজনীতির মিছিল-মিটিংয়ের বাইরে তার সঙ্গে আলাদা কোনো সম্পর্ক নেই। তারা যে অপরাধ করেছে, তার কঠিন শাস্তি আমিও চাই।’

 

পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, এস কে সজীবের নাম সজীব শেখ। তার বাবার নাম মিলন শেখ। শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার হরিবাসর এলাকায় তাদের বাড়ি। সজীবের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মাদক, চাঁদাবাজি, হামলাসহ নানা অভিযোগে পুরোনো সাতটি মামলা আছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের মামলায় তার দুই বছরের সাজাও হয়েছিল।

 

গত বছর শহরের পিটিআই রোডে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জকে গুরুতর আহত করা হয়। এর আগে শহরের সাদ্দাম বাজার এলাকা এক যুবককে ছুরিকাঘাত করার সময় তিনিও গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় মামলাও হয়েছে। শহরের হাউজিং এলাকায় চাঁদাবাজি ও হামলার একাধিক ঘটনা আছে। সেই সব ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে।

 

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই একে অপরের পরিচিত। হত্যার পর লাশ গুম করার সুবিধার্থে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লাশ টুকরা টুকরা করা হয়। চারটি মোটরসাইকেলে সাতজন সাতটি পলিথিন ব্যাগের ভেতর লাশের ৯ টুকরা অংশ নিয়ে বের হন। নদীর পাড় থেকে হেঁটে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে পদ্মার চরে বালুর ভেতর চারটি স্থানে লাশের টুকরাগুলো পুঁতে রাখেন হত্যাকারীরা।

 

 

টাকা পয়সার বিষয় নিয়ে মিলন হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে সজীবসহ গ্রেপ্তার ছয়জন স্বীকার করেছেন। এর পেছনে আর কেউ আছে কিনা, টাকা পয়সা ছাড়া অন্য কোনো বিষয় আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে পুকুর ভরাট জনমনে ক্ষোভ !

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় মিলন হত্যার মূল আসামি সজীবের কঠিন শাস্তি চান তুষার

আপডেট টাইম : ০৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষারের হাত ধরেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেয় সজীব ওরফে এস কে সজীব। আর তখন থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে সজীব। শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের ওপর হামলাসহ নানা অপকর্মের কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার এই কিশোর গ্যাং ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করে থাকেন এমনই অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন সময়।

 

গত ৩১ শে জানুয়ারি সজীব সহ আরো ৫ জন মিলে মিলন হোসেন(২৭) নামের এক যুবককে হত্যার পর লাশ ১০ টুকরা করে পদ্মার চরে পুঁতে রাখে। পরে খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

মিলনকে তিন দিন ধরে খুঁজে না পেয়ে তার স্ত্রী কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি জিডি করেন। জিডির সূত্র ধরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে মিলনের এক বন্ধুকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, আরেক বন্ধু সজীবের নেতৃত্বে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। পরে শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে সজীবসহ আরও চারজনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিলনকে হত্যা করে তার লাশ টুকরা করে পদ্মা নদীর চরে পুঁতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর দিবাগত রাত ২টার দিকে তাদের নিয়ে শহর-সংলগ্ন হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের কান্তিনগর বোয়ালদহে পদ্মা নদীর চরে অভিযানে যায় পুলিশ। রাতভর অভিযান চালিয়ে নদীর চরের বালুর ভেতর চারটি স্থান থেকে মিলনের লাশের নয়টি টুকরা উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র বাঁধবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

হত্যা ও লাশ ১০ টুকরা করে পুঁতে রাখার পর সজীব সহ তার পাঁচ সহযোগীরা সবাই স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছিল।কেউ পালানোর চেষ্টা করেনি।

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সজীব শেখ আটকের আগ মুহূর্তেও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষারের সাথে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক্যালের মাঠে অবস্থান করছিল। সজীব আটকের পর সজীবের ফোনে একাধিক কল আসে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি তুষারের। তখন মোবাইল ফোনটি পুলিশের কাছে ছিল। ইয়াসির আরাফাত তুষার বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

 

সজীবের মা বলেন, ‘আমার ছেলে মারধর-মারামারি করে, এটা ঠিক আছে। তবে হত্যা করতে পারে, এটা বিশ্বাস করি না। তার অনেক শত্রু, কেউ তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তুষারের সঙ্গে (জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি) আমার ছেলে রাজনীতি করে। সে যখন ডাকে, আমার ছেলে চলে যায়। একসঙ্গে বালুঘাটে ব্যবসাও আছে। আমাদের পরিবারের সব খরচও তুষার দেয়। আমাদের বাসায় অনেক ছেলে আসে। সজলও (নিহত মিলনের ব্যবসায়িক অংশীদার ও আসামি) আসতে পারে। নিহত মিলনের সঙ্গে আমার ছেলের কোনো ব্যবসা ছিল না। বন্ধুরা তাকে ডেকে নিয়ে যেতে পারে।’

 

কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার এ বিষয়ে বলেন, আমি একটু ব্যক্তিগত কাজে কুষ্টিয়ার বাইরে আছি। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় সজীবের সঙ্গে তার সম্পর্ক কি? উত্তরে তিনি জানান, আমার সঙ্গে অনেকেই রাজনীতি করে। সজিবও আমার সঙ্গে থাকে। রাজনীতির মিছিল-মিটিংয়ের বাইরে তার সঙ্গে আলাদা কোনো সম্পর্ক নেই। তারা যে অপরাধ করেছে, তার কঠিন শাস্তি আমিও চাই।’

 

পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, এস কে সজীবের নাম সজীব শেখ। তার বাবার নাম মিলন শেখ। শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার হরিবাসর এলাকায় তাদের বাড়ি। সজীবের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মাদক, চাঁদাবাজি, হামলাসহ নানা অভিযোগে পুরোনো সাতটি মামলা আছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের মামলায় তার দুই বছরের সাজাও হয়েছিল।

 

গত বছর শহরের পিটিআই রোডে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জকে গুরুতর আহত করা হয়। এর আগে শহরের সাদ্দাম বাজার এলাকা এক যুবককে ছুরিকাঘাত করার সময় তিনিও গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় মামলাও হয়েছে। শহরের হাউজিং এলাকায় চাঁদাবাজি ও হামলার একাধিক ঘটনা আছে। সেই সব ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে।

 

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই একে অপরের পরিচিত। হত্যার পর লাশ গুম করার সুবিধার্থে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লাশ টুকরা টুকরা করা হয়। চারটি মোটরসাইকেলে সাতজন সাতটি পলিথিন ব্যাগের ভেতর লাশের ৯ টুকরা অংশ নিয়ে বের হন। নদীর পাড় থেকে হেঁটে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে পদ্মার চরে বালুর ভেতর চারটি স্থানে লাশের টুকরাগুলো পুঁতে রাখেন হত্যাকারীরা।

 

 

টাকা পয়সার বিষয় নিয়ে মিলন হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে সজীবসহ গ্রেপ্তার ছয়জন স্বীকার করেছেন। এর পেছনে আর কেউ আছে কিনা, টাকা পয়সা ছাড়া অন্য কোনো বিষয় আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


প্রিন্ট