বরগুনার আমতলীতে চাঁদা না পেয়ে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করায় জসিম উদ্দিন সিকদার ও হোসাইন আলী কাজীর বিরুদ্ধে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেছেন গুলিশাখালী ইউনিয়নের এনবিএম ইটভাটার ম্যানেজার মো. নূর উদ্দিন। সোমবার সকালে এ মামলা করা হয়। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামীদ্বয় হচ্ছেন দৈনিক যুগান্তারের স্টাফ রিপোর্টাও মো. জসিম উদ্দিন সিকদার ও আজকের পত্রিকার আমতলী প্রতিনিধি হোসাইন আলী কাজী।
মামলা সুত্রে জানা যায়, আসামীদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ অন্যায় লাভের আশায় বাদীকে এই বলিয়া হুমকি দেয় যে, আসামী দ্বয়কে সন্তুষ্ট করিতে না পারিলে তবে তাহারা আমাদের ইটের ভাটার সম্পর্কে অসত্য তথ্য তাদের স্ব-স্ব পত্রিকায় প্রকাশ করিয়া আমাদের মানহানি সহ ব্যবসার ক্ষতি সাধন করিবে। তখন আমি তাদের প্রস্তাব অস্বীকার করায় আসামাীন্বয় আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত ঘটনার রেশ ধরে ১নং আসামী হোসাইন আলী কাজী গত বুধবার ৩১ জানুয়ারী আজকের পত্রিকায় ‘বাঁধের মাটি গিলছে অবৈধ ইট ভাটা’। শিরোনামের একটি খবর প্রকাশ করে।
একইভাবে ২নং আসামী যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো. জসিম উদ্দিন সিকদার ‘বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের মাটি ইটের ভাটায় আমতলীতে হুমকির মুখে ৩০ হাজার মানুষ।’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনই পত্রিকায় প্রচার করে। সাংবাদিকদ্বয় অসত্য তথ্য দিয়ে মিথ্যা এবং বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করে আমাদের মানহানী করেন ও ব্যবসার সুনাম নষ্ট করেন। উক্ত ঘটনাটি আমি ও ১নং স্বাক্ষী এবং অন্যান্য স্বাক্ষীরা ঘটনাস্থলে বসে পত্রিকা দুটি পড়িয়া অবগত হই। যাহাতে ১নং সাক্ষীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৫০,০০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার সুনাম নষ্ট ও মানহানি হয়েছে বলে মামলার আর্জিতে উল্লেখ করেন।
মামলার বাদী মো. নূর উদ্দিন বলেন,সাংবাদিক জসিম উদ্দিন সিকদার ও হোসাইন আলী কাজী আমতলী উপজেলা পরিষদের গেটের পূর্ব পাশের পাকা রাস্তায় সামনে দেখা হলে আমি তাহাদেরকে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের কথা জিজ্ঞেস করিলে তারা জানায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে ভালো করিয়াছি যদি তোরা বাড়াবারি করো তবে তোদেরকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিবে বলে হুমকি প্রদান করেন।
প্রিন্ট