শিবপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দলবেঁধে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার তথ্য পাওয়া গেছে। পরে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছেন।
সোমবার(৫ ফেব্রুয়ারী) শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ফরিদ উদ্দিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
আটকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের শফিউদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে আপেল ভূঁইয়া (৩৭), শিবপুর উপজেলার ধনাইয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলের ডালিম মিয়া (২০), একই উপজেলার শাষপুর গ্রামের মৃত মালেক মির্জার ছেলে জাকির মির্জা(৩৫) ও মৃত হিরন মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২৭), ঘাসিরদিয়া গ্রামের রুকুন উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল (১৯) এবং ঘাগুটিয়া গ্রামের হান্নানের ছেলে তুহিন (৩২)।উক্ত মামলায় এজাহার ভুক্ত মোট আসামি নয় জন সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৩/৪জন।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী (১৩) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা। নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীর গরুহাটা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। সেখান থেকে একটি স্পিনিং মিলে কাজে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন বাসে আসা- যাওয়া করত। সেই সুবাদে বাসের হেল্পার ডালিম মিয়ার সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে গত ৩১ জানুয়ারি রাতে বিয়ে করার কথা বলে ডেকে এনে গণধর্ষণ করে ডালিম ও তার বন্ধুরা। পরবর্তীতে এক ও দুই ফেব্রুয়ারি অন্য আসামিরা শিবপুরের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, ভিকটিমের মেডিকেল (ধর্ষণ সংক্রান্ত) পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে, ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে, বয়স সংক্রান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রিন্ট