বিজিবি সিপাহী রইশুদ্দীনের নিথর দেহ তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সাহাপাড়া-শ্যামপুরে পৌঁছেছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মরদেহবাহী একটি হেলিকপ্টার শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। এর আগে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী-বিএসএফের গুলিতে রইশুদ্দীন নিহত হলে দুদিন পর মরদেহ ফেরত পায় বিজিবি।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে। সেখান থেকে আকাশ পথে হেলিকপ্টার যোগে রইশুউদ্দীনের মরদেহ নিয়ে আসা হয়। হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্টেডিয়ামে। পরে রইশুউদ্দীনের পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি বুঝিয়ে পেলে বিজিবির নিরাপত্তায় সড়ক পথে নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহটি। মরদেহ বুঝিয়ে দেয়ার সময় নিহতের পরিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবি ও যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মরদেহ নিজ গ্রামে পৌঁছালে শোকে এলাকা ভারি হয়ে উঠে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভবানীপুর গোরস্থানে মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোররাতে শর্শা থানার ধান্যখোলা সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সিপাহী রইশুদ্দীনকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া-শ্যামপুর গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে। ২০১৫ সালের জুনে যোগ দেন বিজিবির সিপাহী পদে। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্ত রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে কর্মরত ছিলেন।
প্রিন্ট