নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মা-বাবাকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে কলেজ ছাত্র অপু চন্দ্র দাস (১৭) হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার মাথায় দেশিয় অস্ত্রের আঘাতে সে গুরুতর আহত হওয়ার ২৪ঘন্টায়ও তার জ্ঞান ফিরেনি।
শুক্রবার সকালে নিজ বাড়িতে এ ন্যাক্কারজনক হামলার শিকার হয় শিক্ষার্থী ও তার পরিবার।
এ ঘটনায় আহত ছাত্রের বাবা অমিত চন্দ্র দাস বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষনিক এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারভূক্ত আসামী দুর্জয় মজুমদারকে(২২) গ্রেফতার করলেও ঘটনার মুল আসামী শমীর মজুমদার(৪৭) পলাতক রয়েছে।
আহতের পরিবার ও মামলা সুত্রে জানা যায়, শক্রবার সকালে শমীর এর বসতঘরের সামনে দিয়ে ধনিয়া পাতা তুলতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ঘটনারদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলাকারীরা অমিত এর বসত ঘরের সামনে উঠোনে এ দুর্ধর্ষ হামলা চালায়। প্রথমে অমিতের স্ত্রীর উপর হামলা চালালে তাকে বাঁচাতে তার মেয়ে মিতা রানী দাস ছুটে আসলে তাকেও মারধর করে। মা ও মেয়ের চিৎকারে কলেজ পড়ুয়া ভাই অপু চন্দ্র দাসের মাথায় এলোপাতাড়ি রড দিয়ে আঘাত করলে তার চিৎকারে তার বাবা অমিত পুকুর ঘাট থেকে ছুটে আসলে তাকেও মারধর করে আসামীরা চলে যায়। যার ভিডিও চিত্র ধারন করেছে প্রতিবেশিরা।
এদিকে তার মাথা প্রচন্ড আঘাতের কারনে সে জ্ঞান হারিয়ে পেললে স্থানীরা তাদের উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, পাশের বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে নানারকম অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে অভিযুক্ত আসামীরা। তাদের কার্যকলাপ যেন কেউ না জানতে পারে সেজন্য তারা তাদের বাড়ির উঠোন দিয়ে কাউকে চলাচল করতে দেয় না। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে প্রতিবেদকের সামনে নানা রকম অসামাজিক কর্মকাণ্ডের চিত্র চোখে পড়ে। এদের কর্মকাণ্ডে এলাকায় ছাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।এ বিষয়ে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আইনি প্রদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
নোয়াখালী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মহি উদ্দিন আবদুল আজিম জানান, তাঁর মাথায় আঘাতের স্থানে আটটি সেলাই হয়েছে এছাড়াও শরীরের একাধিকস্থানে চিহ্ন রয়েছে।
চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন জানান, চরআমান উল্যাহর মারামারির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এজাহার ভূক্ত আসামী দুজনের মধ্যে ১জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার বিকেল আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রিন্ট