কুষ্টিয়া-২ আসনে নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কুষ্টিয়া-২ আসনে ভোটের দিন ১৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট প্রদান লক্ষ্য করা গেছে, যা কারচুপির মাধ্যমে করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজরে আনার পরেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
সারাদেশে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে মন্তব্য করে হাসানুল হক ইনু বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলো আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মস্তান বাহিনী ভোটের সাত দিন আগে থেকে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, সেটা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। আমি জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা জাসদের কার্যালয়ে ভোট পরবর্তী দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইনু এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৪ দলীয় মহাজোট প্রসঙ্গে ইনু বলেন, নির্বাচনী ঘটনা নিয়ে জোটে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে না। তবে নির্বাচন নিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, সেটা অবশ্যই নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই সঙ্গে জোটের প্রার্থীর এলাকায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর গুন্ডাবাহিনীর যে আক্রমণ, হুমকি-ধামকি, অত্যাচার শুরু হয়েছে- এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তা না হলে জোটের মধ্যে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে না।
এ সময় জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন, মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য কুষ্টিয়া-২ আসনে ইনু পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আরেফিন ট্রাক প্রতীকে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। কামরুল মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
প্রিন্ট