দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে রবিবার (৭ জানুয়ারি)। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহন শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
কুষ্টিয়া-২ আসনে নির্বাচনে মোট ১শ ৬১টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। আজ রবিবার ভোটের দিন সকালে উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু ব্যালট পেপার কেন্দ্র গুলোতে পাঠান। ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে।
ভেড়ামারা-মিরপুর (কুষ্টিয়া-২) আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে মোট ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ৪ জন স্বতন্ত্র। জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল জাসদ(নৌকা)। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। জাতীয় পাটি। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ সংগঠন নির্বাচন করছে। এই আসনে মুলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রার্থী নির্বাচনি মাঠে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই করছেন হাসানুল হক ইনু (নৌকা) ও কামারুল আরেফিন (স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক)।
ভোট গ্রহণের শুরুর দিকেই ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপ নগর দামুকদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল জাসদ(নৌকা) প্রতীক শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি ভোট দেয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ” নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জনগণ যে রায় দিবে তা মেনে নিবো”।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর এলাকায় একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়ে কামারুল আরেফিন (স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক) প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন আমি নির্বাচনের ফল মেনে নিতে প্রস্তুত আছি।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোছা: ফাতেমা খাতুন জানান, ভেড়ামারা-মিরপুর মিলে কুষ্টিয়া-২ আসন। মোট কেন্দ্র ১৬১টি। ভেড়ামারায় ভোটার ১লাখ ৬৫হাজার ৪৯ । মিরপুর ২লাখ ৭৬হাজার ২শ’৯১। দুই উপজেলা মোট ভোটার সংখ্যা ৪লাখ ৫১হাজার ৯শ’৮০। ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কড়া নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভেড়ামারা উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু ।
ভেড়ামারার থানার ইনচার্জ (ওসি) মো: জহুরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সব এলাকাতেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে নজরদারি। প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেই পুলিশ ও আনসার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের কোনো রকম অনিয়ম, কারচুপি, দায়িত্বে অবহেলা চােখে পরেনি।
প্রিন্ট