ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে বার্সেলোনাতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রতিষ্টান ভিক্টোরি মানি۔ ট্রান্সফার এন্ড ট্রাভেলস

বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদে যথাযথ মর্যাদায় “আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস” উদযাপন করে। এ উপলক্ষে স্পেন থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি দিদারুল আলম ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে “আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পদক” প্রদান করা হয় । এতে স্পেনে আমানাহ মানি ট্রান্সফার কে প্রথম ও ভিক্টরি মানি ট্রান্সফার এন্ড ট্রাভেলস দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে|

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল , ​​​“প্রবাসী কর্মীরা উন্নয়নের অংশীদার ​​​সমুন্নত রাখবো তাদের অধিকার” দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের মিলনায়তনে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর(সোমবার) সকাল ১১.৩০টায় পবিত্র কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানের সূত্রপাত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। শ্রম উইং মুতাসিমুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পেনে নিযুক্ত মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি স্পেন প্রবাসী অভিবাসী কর্মী, তাদের সুহৃদ ও পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ অভিবাসন কার্যক্রম ও কল্যাণে যুক্ত সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

 

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার অসামান্য নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে। দেশের সার্বিক এই অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী কর্মীদের ও রয়েছে অসামান্য অবদান। স্পেনে বসবাসরত প্রায় ৬০ হাজার প্রবাসী তাদের প্রেরিত রেমিটেন্সের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করছেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বের অর্থনীতির মত বাংলাদেশের অর্থনীতিও কিছুটা চাপে পড়েছে। দেশের অর্থনীতির এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে তিনি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

 

তিনি আরো জানান, স্পেন থেকে বৈধভাবে রেমিটেন্স প্রেরণ প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। স্পেন থেকে স্পেন থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৪.৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈধভাবে দেশে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে দূতাবাস সবসময় সচেষ্ট রয়েছে মর্মে মন্তব্য করেন এবং স্পেনে নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

স্পেন প্রবাসীরা যেন দূতাবাসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারেন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স যেন তারা সহজে পান সেজন্য দূতাবাস আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তিনি সকলকে অবহিত করেন। তিনি প্রবাসীদের পরিবার স্পেনে আনার কার্যক্রম সহজিকরণ করার জন্য স্পেনিশ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার বিষয় অবহিত করেন।

 

তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকার নানাবিধ ভূমিকা রেখে চলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে চালু করা হয়েছে পেনশন স্কিম, যার মধ্যে প্রবাস স্কিম চালু করা হয়েছে শুধুমাত্র প্রবাসীদের কল্যাণে। প্রবাসীরা উক্ত স্কিমে নিজে অংশগ্রহণ করতে পারেন অথবা পছন্দ অনুসারে অন্য যে কোন স্কিমে নিজের কোন নিকটাত্মীয়ের পক্ষেও অংশ নিতে পারেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন “সোনার বাংলা” গড়ে তোলার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি উন্নত দেশ গড়ার “রূপকল্প ২০৪১” বাস্তবায়নে। তিনি উক্ত লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

 

এ সময় বক্তব্য রাখেন, স্পেন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাজিদুর রহমান সোহেল, অল ইউরোপীয়ান বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বকুল খান, এ টি ন বাংলার স্পেন۔ প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান |


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে বার্সেলোনাতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রতিষ্টান ভিক্টোরি মানি۔ ট্রান্সফার এন্ড ট্রাভেলস

আপডেট টাইম : ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো :

বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদে যথাযথ মর্যাদায় “আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস” উদযাপন করে। এ উপলক্ষে স্পেন থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি দিদারুল আলম ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে “আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পদক” প্রদান করা হয় । এতে স্পেনে আমানাহ মানি ট্রান্সফার কে প্রথম ও ভিক্টরি মানি ট্রান্সফার এন্ড ট্রাভেলস দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে|

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল , ​​​“প্রবাসী কর্মীরা উন্নয়নের অংশীদার ​​​সমুন্নত রাখবো তাদের অধিকার” দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের মিলনায়তনে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর(সোমবার) সকাল ১১.৩০টায় পবিত্র কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানের সূত্রপাত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। শ্রম উইং মুতাসিমুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পেনে নিযুক্ত মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি স্পেন প্রবাসী অভিবাসী কর্মী, তাদের সুহৃদ ও পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ অভিবাসন কার্যক্রম ও কল্যাণে যুক্ত সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

 

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার অসামান্য নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে। দেশের সার্বিক এই অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী কর্মীদের ও রয়েছে অসামান্য অবদান। স্পেনে বসবাসরত প্রায় ৬০ হাজার প্রবাসী তাদের প্রেরিত রেমিটেন্সের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করছেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বের অর্থনীতির মত বাংলাদেশের অর্থনীতিও কিছুটা চাপে পড়েছে। দেশের অর্থনীতির এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে তিনি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

 

তিনি আরো জানান, স্পেন থেকে বৈধভাবে রেমিটেন্স প্রেরণ প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। স্পেন থেকে স্পেন থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৪.৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈধভাবে দেশে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে দূতাবাস সবসময় সচেষ্ট রয়েছে মর্মে মন্তব্য করেন এবং স্পেনে নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

স্পেন প্রবাসীরা যেন দূতাবাসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারেন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স যেন তারা সহজে পান সেজন্য দূতাবাস আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তিনি সকলকে অবহিত করেন। তিনি প্রবাসীদের পরিবার স্পেনে আনার কার্যক্রম সহজিকরণ করার জন্য স্পেনিশ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার বিষয় অবহিত করেন।

 

তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকার নানাবিধ ভূমিকা রেখে চলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে চালু করা হয়েছে পেনশন স্কিম, যার মধ্যে প্রবাস স্কিম চালু করা হয়েছে শুধুমাত্র প্রবাসীদের কল্যাণে। প্রবাসীরা উক্ত স্কিমে নিজে অংশগ্রহণ করতে পারেন অথবা পছন্দ অনুসারে অন্য যে কোন স্কিমে নিজের কোন নিকটাত্মীয়ের পক্ষেও অংশ নিতে পারেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন “সোনার বাংলা” গড়ে তোলার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি উন্নত দেশ গড়ার “রূপকল্প ২০৪১” বাস্তবায়নে। তিনি উক্ত লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

 

এ সময় বক্তব্য রাখেন, স্পেন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাজিদুর রহমান সোহেল, অল ইউরোপীয়ান বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বকুল খান, এ টি ন বাংলার স্পেন۔ প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান |


প্রিন্ট