কুষ্টিয়ায় পচা পেঁয়াজের কেজি ১০০,ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে এমন ঘোষণার পর কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। পচা পেঁয়াজের দামও পৌঁছেছে ১০০ টাকায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাইকারি হাটে প্রতি কেজি পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, নতুন পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। পচা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে যার দাম ছিল প্রায় অর্ধেক।
অন্যদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ স্থানভেদে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে একদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে কাঁচামরিচের। খু্চরা প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা আগে ১০০ টাকা ছিল।
প্রতি রোববার কুমারখালী উপজেলার চৌরঙ্গী মহাবিদ্যালয় মাঠে বসে সাপ্তাহিক পেঁয়াজের হাট। সকাল সাড়ে ১০টায় হাটে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক বা বিক্রেতাদের আনাগোনা নেই। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ বস্তায় ভরার কাজ করছেন। অনেকটা সুনসান নীরবতা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। মানুষের ঘরে পেঁয়াজ মজুত না থাকায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকায় হঠাৎ দাম বেড়ে গেছে।
হাট থেকে পচা পেঁয়াজ কুড়িয়ে বিক্রি করেন জামিলা খাতুন। তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে তিন কেজি পচা পেঁয়াজ পাইছিলাম। ৩০০ টাকা বিক্রি করেছি।
পচা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বকুল হোসেন বলেন, বাজারে আমদানি একেবারেই কম। ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে ১৩ কেজি পেঁয়াজ কিনেছি।
হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সোহরাব উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজের মৌসুমে আট থেকে ১০ হাজার মণ পেঁয়াজ রপ্তানি হতো। সেখানে এ হাটে মাত্র ১৫০ মণ পেঁয়াজ এসেছে। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ চার হাজার টাকা মণ বিক্রি হলেও রোববার হয়েছে সাত হাজার ৮০০ টাকায়।
কুমারখালী তহবাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা মজনু শেখ বলেন, পুরোনো পেঁয়াজের মজুত নেই। নতুন পেঁয়াজ ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে একদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম ৪০ টাকা কমে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কুমারখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাত বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনো অসাধু কারসাজি পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট