বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন-২৩ উপলক্ষে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর খাগড়াছড়ি’র আয়োজনে ৪ নারীকে ‘জয়িতা’ সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার ( ৯ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে খাগড়াছড়ি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুস্মিতা খীসার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাইমা ইসলাম সহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ৪ মহিয়সী নারীকে সম্মাননা স্মারক ও সনদ প্রদান করা হয়। এবং স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মাঝে চেক বিতরন করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সফল জননী নারী ইন্দ্রিরা চাকমা, অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন কারী মিতা চাকমা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা জামেনা বেগম, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী রাঙ্গাবী চাকমা ।
সংবর্ধনা পেয়ে ‘জয়ীতা’ নারীরা বলেন শত বাঁধা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে এই সংবর্ধনা হোক প্রতিটি নারীর উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার প্রতীক।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, বেগম রোকেয়া অবরোধ প্রথা, অন্যদিকে অশিক্ষার অভিশাপ-এমনি এক সামাজিক পরিবেশে বেড়ে উঠেন। নিজের আগ্রহে ও উদ্যেগে শিক্ষিত হয়েছিলেন এবং বুঝেছিলেন প্রকৃত শিক্ষার মধ্য দিয়ে নারী তার অপন শক্তি খুঁজে পাবে। আজীবন নারী শিক্ষা এবং অবরোধ প্রথার বিরুদ্ধে এবং নারী পুরুষের সমান অধিকারের পক্ষে লড়াই করেছেন তিনি। জীবনের সকল সম্পদ-সম্পত্তি ও মেধা দিয়ে নারী জাগরনের জন্য লড়াই করেছেন। অন্যান্য বক্তারা সভা থেকে বেগম রোকেয়ার সংগ্রামী চেতনাকে ধারন করে নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারী পুরুষ ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
প্রিন্ট