আগাম বোরো ধান কাটতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে নাটোরে যাচ্ছেন কুষ্টিয়ার ৪ শতাধিক কৃষি শ্রমিক। লকডাউনের কারণে এসব শ্রমিকরা ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা কৃষি অফিসের কাছ থেকে যাওয়ার জন্য অনুমতি নিয়েছে।
গত শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ভেড়ামারা থেকে কৃষি শ্রমিক বোঝাই একটি ট্রাক নাটোরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গত এক সপ্তাহ ধরেই ট্রাকে করে শ্রমিকদের নাটোরে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
ভেড়ামারা উপজেলার পরানখালী এলাকার কৃষি শ্রমিক সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বর্তমানে কাজ নেই। এখনো ধান কাটা শুরু হয়নি এই এলাকায়। তাই আমরা নাটোরে ধান কাটতে যাচ্ছি। গতবছরও গিয়েছিলোম। ভালো ধান ও টাকা পেয়েছিলাম।
একই এলাকার কাউছার আলী বলেন, গরীব মানুষ, কাজ কাম নাই তাই ধান কাটার জন্য যাচ্ছি। বাড়ি বসে থেকে তো আর সংসার চলবে না। জুনিয়াদহ এলাকার সোহান আলী বলেন, এখন পান বরজে কাজ কম, তাই বাড়িতে বসে না থেকে ধান কাটতে যাচ্ছি।
ভেড়ামারা উপজেলার পরাণখালী, জুনিয়াদহ, জগশ্বর, রামকৃষ্ণপুর, ঠাকুর দৌলতপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ জীবিকার সন্ধানে যাচ্ছেন নাটোরে ধান কাটতে।
করোনাকালীন সময়ে তাদের নেওয়া লাগছে উপজেলা প্রশাসন এবং কৃষি অফিস থেকে অনুমতিপত্র।
ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি অফিসার শায়খুল ইসলাম জানান, কৃষি শ্রমিকদের এ সময়ে যেমন বেকার থাকা লাগছে না। তেমনি নাটোরে কৃষি শ্রমিকের সঙ্কটও কাটলো। গতবছরও ভেড়ামারা থেকে অনেক কৃষক ধান কাটতে গিয়েছিলো। এবছর এরমধ্যেই ৪ শতাধিক শ্রমিক উপজেলা কৃষি অফিস থেকে অনুমতিপত্র নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ জানান, যে শ্রমিক অনুমতি নিয়ে ধান কাটতে যাচ্ছে, তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এখনো কোন শ্রমিক ধান কাটার উদ্দেশে জেলার বাইরে যেতে চাইলে ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন তাদের সহযোগিতা করবে।
প্রিন্ট