ঢাকা , বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভোরের কাগজের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য Logo বোয়ালমারীতে অনূর্ধ্ব-১৮ কাবাডি খেলায় চ্যাম্পিয়ন চতুল ইউনিয়ন পরিষদ Logo ট্রেন বন্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজশাহী স্টেশনে ভাংচুর চালালেন যাত্রীরা Logo কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর নাগরপুর উপজেলা শাখা কমিটি গঠন Logo রূপগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলে হামলা, গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ Logo দৌলতপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত, দুই বন্ধু আহত Logo দিনাজপুর জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের বিশেষ সাধারণ সভা Logo ফরিদপুর সদর উপজেলায় হুইল চেয়ার, বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন ‌ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo নলছিটিতে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo খোকসায় আজ মঙ্গলবার মধ্যরাতে মহিষ ও পাঠা বলির মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ৬শ বছরের ঐতিহ্যবাহ কালী পূজার মেলা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বিদেশের মাটিতে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী রাষ্ট্রদূত এম. হোসেন আলী

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশের মাটিতে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী এবং প্রথম কুটনীতিক যিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে ৬৫ জন সহকর্মী নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি হলেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রদূত এম. হোসেন আলী।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মুজিব নগরে প্রবাসী সরকারের শপথ গ্রহনের পরেরদিন ১৮ এপ্রিল কলকাতায় অবস্থিত পাকিস্তানের উপ দুতাবাসের ডিপুটি হাইকমিশনার এম. হোসেন আলী তাঁর অফিস থেকে পাকিস্তানী পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁর অধীনস্থ ৬৫ জন বাঙালী কর্মকর্তা কর্মচারী বাংলাদেশের পক্ষ অবলম্বন করেন। এই ঘটনাটি তৎকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে আলোচিত ঘটনা হয়। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এ ঘটনাটি দারুনভাবে আলোড়িত হয়।

উল্লেখিত ঘটনার পর প্রবাসী মুজিবনগর সরকার কলকাতার হাই কমিশনকে বাংলাদেশ মিশন নামকরন করে এম. হোসেন আলীকে জৈষ্ঠ কুটনীতিক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িতরা সবাই জানেন, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ মিশন ছিল প্রবাসী সরকারের প্রধান কেন্দ্রস্থল। এখান থেকেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হতো। বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ শরনার্থীর আশ্রয় খাদ্যে সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহে ব্যবস্থা গ্রহন করা এবং পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা সহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমর্থন, সহযোগীতা এবং কুটনৈতিক তৎপরতার সব কিছু পরিচালিত হতো কলকাতার পার্ক ষ্ট্রীটে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন থেকে। আর এই সকল কর্মকান্ডের নেপথ্য কারিগর ছিলেন, মিশন প্রধান এম. হোসেন আলী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রদূত এম. হোসেন আলী। -ছবি সংগৃহীত।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ভোরের কাগজের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

error: Content is protected !!

বিদেশের মাটিতে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী রাষ্ট্রদূত এম. হোসেন আলী

আপডেট টাইম : ১০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, পাবনা প্রতিনিধিঃ :

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশের মাটিতে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী এবং প্রথম কুটনীতিক যিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে ৬৫ জন সহকর্মী নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি হলেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রদূত এম. হোসেন আলী।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মুজিব নগরে প্রবাসী সরকারের শপথ গ্রহনের পরেরদিন ১৮ এপ্রিল কলকাতায় অবস্থিত পাকিস্তানের উপ দুতাবাসের ডিপুটি হাইকমিশনার এম. হোসেন আলী তাঁর অফিস থেকে পাকিস্তানী পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁর অধীনস্থ ৬৫ জন বাঙালী কর্মকর্তা কর্মচারী বাংলাদেশের পক্ষ অবলম্বন করেন। এই ঘটনাটি তৎকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে আলোচিত ঘটনা হয়। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এ ঘটনাটি দারুনভাবে আলোড়িত হয়।

উল্লেখিত ঘটনার পর প্রবাসী মুজিবনগর সরকার কলকাতার হাই কমিশনকে বাংলাদেশ মিশন নামকরন করে এম. হোসেন আলীকে জৈষ্ঠ কুটনীতিক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িতরা সবাই জানেন, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ মিশন ছিল প্রবাসী সরকারের প্রধান কেন্দ্রস্থল। এখান থেকেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হতো। বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ শরনার্থীর আশ্রয় খাদ্যে সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহে ব্যবস্থা গ্রহন করা এবং পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা সহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমর্থন, সহযোগীতা এবং কুটনৈতিক তৎপরতার সব কিছু পরিচালিত হতো কলকাতার পার্ক ষ্ট্রীটে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন থেকে। আর এই সকল কর্মকান্ডের নেপথ্য কারিগর ছিলেন, মিশন প্রধান এম. হোসেন আলী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রদূত এম. হোসেন আলী। -ছবি সংগৃহীত।


প্রিন্ট