ঢাকা , রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফুঁসে উঠেই নিভে গেল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ Logo লুঙ্গি গেঞ্জি মাস্ক পরে যান বিমানবন্দরে Logo ভারত থেকে অবৈধভাবে ফেরার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ১০ বাংলাদেশী আটক Logo গোমস্তাপুরে বিদ্যুতের পোল থেকে পড়ে এক ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি মৃত্যু Logo নলছিটিতে “অপারেশন ডেভিল হান্ট”ঃ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ গ্রেফতার ২ নেতা Logo বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী Logo নাগরপুরে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা, চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo লালপুরে সহকর্মীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁসের অভিযোগে সিডিএ আটক Logo আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গোয়ালন্দে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বিদেশের মাটিতে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী রাষ্ট্রদূত এম. হোসেন আলী

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশের মাটিতে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী এবং প্রথম কুটনীতিক যিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে ৬৫ জন সহকর্মী নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি হলেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রদূত এম. হোসেন আলী।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মুজিব নগরে প্রবাসী সরকারের শপথ গ্রহনের পরেরদিন ১৮ এপ্রিল কলকাতায় অবস্থিত পাকিস্তানের উপ দুতাবাসের ডিপুটি হাইকমিশনার এম. হোসেন আলী তাঁর অফিস থেকে পাকিস্তানী পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁর অধীনস্থ ৬৫ জন বাঙালী কর্মকর্তা কর্মচারী বাংলাদেশের পক্ষ অবলম্বন করেন। এই ঘটনাটি তৎকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে আলোচিত ঘটনা হয়। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এ ঘটনাটি দারুনভাবে আলোড়িত হয়।

উল্লেখিত ঘটনার পর প্রবাসী মুজিবনগর সরকার কলকাতার হাই কমিশনকে বাংলাদেশ মিশন নামকরন করে এম. হোসেন আলীকে জৈষ্ঠ কুটনীতিক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িতরা সবাই জানেন, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ মিশন ছিল প্রবাসী সরকারের প্রধান কেন্দ্রস্থল। এখান থেকেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হতো। বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ শরনার্থীর আশ্রয় খাদ্যে সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহে ব্যবস্থা গ্রহন করা এবং পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা সহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমর্থন, সহযোগীতা এবং কুটনৈতিক তৎপরতার সব কিছু পরিচালিত হতো কলকাতার পার্ক ষ্ট্রীটে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন থেকে। আর এই সকল কর্মকান্ডের নেপথ্য কারিগর ছিলেন, মিশন প্রধান এম. হোসেন আলী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রদূত এম. হোসেন আলী। -ছবি সংগৃহীত।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুঁসে উঠেই নিভে গেল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ

error: Content is protected !!

বিদেশের মাটিতে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী রাষ্ট্রদূত এম. হোসেন আলী

আপডেট টাইম : ১০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, পাবনা প্রতিনিধিঃ :

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশের মাটিতে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী এবং প্রথম কুটনীতিক যিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে ৬৫ জন সহকর্মী নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি হলেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রদূত এম. হোসেন আলী।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মুজিব নগরে প্রবাসী সরকারের শপথ গ্রহনের পরেরদিন ১৮ এপ্রিল কলকাতায় অবস্থিত পাকিস্তানের উপ দুতাবাসের ডিপুটি হাইকমিশনার এম. হোসেন আলী তাঁর অফিস থেকে পাকিস্তানী পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁর অধীনস্থ ৬৫ জন বাঙালী কর্মকর্তা কর্মচারী বাংলাদেশের পক্ষ অবলম্বন করেন। এই ঘটনাটি তৎকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে আলোচিত ঘটনা হয়। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এ ঘটনাটি দারুনভাবে আলোড়িত হয়।

উল্লেখিত ঘটনার পর প্রবাসী মুজিবনগর সরকার কলকাতার হাই কমিশনকে বাংলাদেশ মিশন নামকরন করে এম. হোসেন আলীকে জৈষ্ঠ কুটনীতিক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িতরা সবাই জানেন, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ মিশন ছিল প্রবাসী সরকারের প্রধান কেন্দ্রস্থল। এখান থেকেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হতো। বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ শরনার্থীর আশ্রয় খাদ্যে সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহে ব্যবস্থা গ্রহন করা এবং পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা সহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমর্থন, সহযোগীতা এবং কুটনৈতিক তৎপরতার সব কিছু পরিচালিত হতো কলকাতার পার্ক ষ্ট্রীটে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন থেকে। আর এই সকল কর্মকান্ডের নেপথ্য কারিগর ছিলেন, মিশন প্রধান এম. হোসেন আলী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রদূত এম. হোসেন আলী। -ছবি সংগৃহীত।


প্রিন্ট