ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে কেরাম বোর্ডের ভাড়া বাবদ ১০ টাকা না দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন Logo পাংশায় ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক এ্যাসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা Logo বাংলাদেশ ও ঘানার জন্য আইএইচডিএফ গ্লোবাল মেডিকেল ক্যাম্প ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা Logo বোয়ালমারীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং ট্রেনের ধাক্কায় নছিমন চালক নিহত Logo হাতিয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফে ওরছ অনুষ্ঠিত Logo চার দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর ম্যাটস শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন Logo চট্টগ্রামের পটিয়ায় অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধিতে জনমনে আতঙ্ক Logo নড়াইল পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে চলছে উৎসবের আমেজ, চলছে প্রার্থীদের জোর প্রচারণা Logo যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে টিউলিপের পদত্যাগ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নাশকতার আশংকায় ফাঁকা করা হয়েছিলো ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের রেলইয়ার্ড

ঈশ্বরদী বগিগুলো সরিয়ে পাকশীতে নতুন স্থাপিত রূপপুর স্টেশনে রাখা হয়েছে। রূপপুর স্টেশনকে ঘিরে ফেলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, ইয়ার্ডের উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম লাইনগুলো ফাঁকা। তবে শুক্রবারে তেলবাহী এবং ভারত হতে আমদানিকৃত পণ্যের ওয়াগণ কিছু দেখা গেছে।

 

জানা গেছে, নাশকতার আশংকায় ফাঁকা করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বৃহত্তম ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের রেলইয়ার্ড। চিরচেনা ব্যস্ততম রেলইয়ার্ডের কর্মকান্ডে নেমে এসেছে শুন্যতা। চলমান হরতাল-অবরোধ কার্যকর করতে মৈত্রী এক্সপ্রেসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, ট্রেনের নিচে থেকে বোমা উদ্ধার এবং রেলগেটে রেললাইনের ওপর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। গত ২৭ নভেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে ওয়াশফিটে বগিতে আগুন দেওয়া হলে ১১টি সিট পুড়ে যায়। বারবার নাশকতার প্রচেষ্টার কারণে পশ্চিমাঞ্চল রেল কর্তৃপক্ষ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য ঈশ্বরদী রেলইয়ার্ডের ট্রেনের বগিগুলো সরিয়ে ফাাঁকা করেছে।

 

স্টেশনের সুপারিনটেন্ড মহিউল ইসলাম বলেন, বার বার নাশকতার কারণে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের এমটি বগিগুলো সরিয়ে রূপপুরে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়ার্ড সম্পূর্ণই ফাঁকা ছিলো। রাতে লোকোমেটিভের জন্য তেলবাহী ওয়াগণ এসেছে। এগুলো লোকোসেডের রিজার্ভ ট্যাংকিতে আনলোডের পর চলে যাবে। এছাড়াও ভারত হতে আমদানিকৃত মোলাসেস বহনকারী ওয়াগণগুলো জয়পুরহাট হতে এসেছে। এগুলোও চলে যাবে। বিশেষ প্রয়োজন এবং মালামাল লোড-আনলোড করা ছাড়া ইয়ার্ডে কোন বগি রাখা হবে না।

 

শুক্রবার দুপুরে রূপপুর স্টেশনে বিপুল সংখ্যক যাত্রী ও মালবাহী বগি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। স্টেশনে প্রবেশের সবগুলো পথই ব্যরিকেড দিয়ে বন্ধ। ব্যরিকেড ডিঙ্গিয়ে স্টেশন এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে হুইসেল বাজিয়ে রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাঁধা প্রদান করেন। তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না। কঠোরভাবে ১২ ঘন্টা করে তারা ৬ জন করে ডিউটি করছেন। তবে তাদের অভিযোগ টানা ১৪ ঘন্টা না খেয়ে ডিউটি করছেন তারা। জরুরী অবস্থায় অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে এধরণের ডিউটিতে খাবার সরবরাহ করা হলেও রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কিছুই পাচ্ছেন না। লোকালয় ও দোকানপাট অনেক দূরে থাকায় ডিউটি বাদ দিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় তারা বেকায়দায় পড়েছেন।

 

 

ইতিহাস বলে, বৃটিশ আমল থেকে রেলইয়ার্ডের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেনের বগিতে পরিপূর্ণ থাকতো। দেশের বিভিন্ন এলাকা এবং ভারত হতে আমদানিকৃত পণ্যের বগিগুলোও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মালগুদাম এলাকায় পণ্য ওঠানো-নামানোর ব্যস্ততা নেই। সুদীর্ঘ ইয়ার্ডে অচল বগির পাশাপাশি সচল ও নতুন বগিগুলো এখানে ছিলো। প্রায় শতাধিক ট্রেনের বগির অবস্থান সবসময়ই থাকে ঈশ্বরদী ইয়ার্ডে। ট্রেনে অতিরিক্ত বগির প্রয়োজন হলে, বগি রিজার্ভ এবং বিশেষ ট্রেনের প্রয়োজন হলে ঈশ্বরদী থেকেই সংযোজন করা হয়ে থাকে। যেকারণে বিশাল ইয়ার্ড সবসময় ট্রেনের বগিতে পরিপূর্ণ থাকে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফরিদপুরে কেরাম বোর্ডের ভাড়া বাবদ ১০ টাকা না দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

error: Content is protected !!

নাশকতার আশংকায় ফাঁকা করা হয়েছিলো ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের রেলইয়ার্ড

আপডেট টাইম : ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :

ঈশ্বরদী বগিগুলো সরিয়ে পাকশীতে নতুন স্থাপিত রূপপুর স্টেশনে রাখা হয়েছে। রূপপুর স্টেশনকে ঘিরে ফেলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, ইয়ার্ডের উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম লাইনগুলো ফাঁকা। তবে শুক্রবারে তেলবাহী এবং ভারত হতে আমদানিকৃত পণ্যের ওয়াগণ কিছু দেখা গেছে।

 

জানা গেছে, নাশকতার আশংকায় ফাঁকা করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বৃহত্তম ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের রেলইয়ার্ড। চিরচেনা ব্যস্ততম রেলইয়ার্ডের কর্মকান্ডে নেমে এসেছে শুন্যতা। চলমান হরতাল-অবরোধ কার্যকর করতে মৈত্রী এক্সপ্রেসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, ট্রেনের নিচে থেকে বোমা উদ্ধার এবং রেলগেটে রেললাইনের ওপর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। গত ২৭ নভেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে ওয়াশফিটে বগিতে আগুন দেওয়া হলে ১১টি সিট পুড়ে যায়। বারবার নাশকতার প্রচেষ্টার কারণে পশ্চিমাঞ্চল রেল কর্তৃপক্ষ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য ঈশ্বরদী রেলইয়ার্ডের ট্রেনের বগিগুলো সরিয়ে ফাাঁকা করেছে।

 

স্টেশনের সুপারিনটেন্ড মহিউল ইসলাম বলেন, বার বার নাশকতার কারণে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের এমটি বগিগুলো সরিয়ে রূপপুরে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়ার্ড সম্পূর্ণই ফাঁকা ছিলো। রাতে লোকোমেটিভের জন্য তেলবাহী ওয়াগণ এসেছে। এগুলো লোকোসেডের রিজার্ভ ট্যাংকিতে আনলোডের পর চলে যাবে। এছাড়াও ভারত হতে আমদানিকৃত মোলাসেস বহনকারী ওয়াগণগুলো জয়পুরহাট হতে এসেছে। এগুলোও চলে যাবে। বিশেষ প্রয়োজন এবং মালামাল লোড-আনলোড করা ছাড়া ইয়ার্ডে কোন বগি রাখা হবে না।

 

শুক্রবার দুপুরে রূপপুর স্টেশনে বিপুল সংখ্যক যাত্রী ও মালবাহী বগি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। স্টেশনে প্রবেশের সবগুলো পথই ব্যরিকেড দিয়ে বন্ধ। ব্যরিকেড ডিঙ্গিয়ে স্টেশন এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে হুইসেল বাজিয়ে রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাঁধা প্রদান করেন। তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না। কঠোরভাবে ১২ ঘন্টা করে তারা ৬ জন করে ডিউটি করছেন। তবে তাদের অভিযোগ টানা ১৪ ঘন্টা না খেয়ে ডিউটি করছেন তারা। জরুরী অবস্থায় অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে এধরণের ডিউটিতে খাবার সরবরাহ করা হলেও রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কিছুই পাচ্ছেন না। লোকালয় ও দোকানপাট অনেক দূরে থাকায় ডিউটি বাদ দিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় তারা বেকায়দায় পড়েছেন।

 

 

ইতিহাস বলে, বৃটিশ আমল থেকে রেলইয়ার্ডের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেনের বগিতে পরিপূর্ণ থাকতো। দেশের বিভিন্ন এলাকা এবং ভারত হতে আমদানিকৃত পণ্যের বগিগুলোও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মালগুদাম এলাকায় পণ্য ওঠানো-নামানোর ব্যস্ততা নেই। সুদীর্ঘ ইয়ার্ডে অচল বগির পাশাপাশি সচল ও নতুন বগিগুলো এখানে ছিলো। প্রায় শতাধিক ট্রেনের বগির অবস্থান সবসময়ই থাকে ঈশ্বরদী ইয়ার্ডে। ট্রেনে অতিরিক্ত বগির প্রয়োজন হলে, বগি রিজার্ভ এবং বিশেষ ট্রেনের প্রয়োজন হলে ঈশ্বরদী থেকেই সংযোজন করা হয়ে থাকে। যেকারণে বিশাল ইয়ার্ড সবসময় ট্রেনের বগিতে পরিপূর্ণ থাকে।


প্রিন্ট