গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় সচিব বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দেন। ।
কাবির মিয়া বলেন, মুকসুদপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে যেতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমি বহুবছর ধরে আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতি করে আসছি। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গোপালগঞ্জ -১ আসনে নির্বাচন করবো এবং জনগণের সমর্থন ও ভালোবাসায় জয়লাভ করবো ইনশাআল্লাহ।
কাবির মিয়ার সমর্থকরা সাংবাদিকদের জানান, জনপ্রিয় প্রার্থীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে গ্রিন সিগন্যাল রয়েছে। মুকসুদপুর – কাশিয়ানী আসনে অন্য প্রার্থীর চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে কাবির মিয়া। তিনি খুবই জনপ্রিয় নেতা। তাই তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
অপরদিকে গোপালগঞ্জ -১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী) আসনে টানা পাঁচবার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান। এ আসনে এবারও ডাবল হ্যাট্টিক করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন মুহাম্মদ ফারুক খান। এমনি আসা করছেন আওয়ালীগের স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
- আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য সুন্দর নির্বাচন
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, আপিল শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।
উল্লেখ্য গোপালগঞ্জ জেলার তিনটি নির্বাচনী আসনে মোট ২২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। হেভি ওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে ৩নং আসনে রয়েছেন শেখ হাসিনা, ২নং আসনে শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ১নং আসনে মুহাম্মদ ফারুক খান ও মোঃ কাবির মিয়া।
প্রিন্ট