ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরায় শেষ হলো ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজার মহাউৎসব ২০২৩

মাগুরায় ৫ দিন ব্যাপী  ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা শেষ হয়েছে।প্রতিবছর দূর্গাপূজার পর জেলায় ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই পূজা উদযাপিত হয়।সে হিসাবে এ বছরের পূজা উৎসব গত ১৮ নভেম্বর  থেকে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে আজ ২৩ নভেম্বর দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই মহা উৎসব।
কাত্যায়নী উৎসব উপলক্ষে প্রতিবছর লাখো মানুষের ঢল নামে মাগুরায়।উৎসবে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের মিলন ঘটে এ উৎসবে।তবে এ বছর রাজনৈতিক দলের হরতাল অবরোধের কারণে দুর-দুরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও উৎসবের আমেজ ছিলো ঠিক আগের মতোই বলে জানান আয়োজকরা।
এবারের কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে জেলার ৪ উপজেলায় মোট ৯৪টি মন্ডপে প্রতিমা স্থাপিত হয়েছে দেবী কাত্যায়ানী।যার মধ্যে পৌর এলাকায় ১৯ টি, সদর উপজেলায় ২৬টি,  শ্রীপুরে ১৩টি, মহম্মদপুরে ০৮টি ও শালিখায় ২৮টি মন্ডপে কাত্যায়নী পূজার উৎসব  অনুষ্ঠিত হয়েছে।তবে মাগুরা শহরের ১৯টি মন্ডপ  সবচেয়ে বেশী জাকজমকপুর্ণ হয়েছে।শহরের পারনান্দুয়ালী, জামরুলতলা, সাতদোহাপাড়া, নতুন বাজার, বাটিকাডাঙ্গা, উপজেলা পাড়া শিবরামপুর, নান্দুয়ালীসহ প্রতিটি পূজা মন্ডপকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন গেট, প্যান্ডেল, তোরণ। আধুনিক লাইটিংয়ের মাধ্যমে সাজানো হয়েছিলো পূজা মন্ডপগুলো ।
পূজা উপলক্ষে  শহরের গুরুত্বপূর্ণ  স্থান ও  বিভিন্ন পূজা মন্ডপের প্রবেশ পথে দৃষ্টিনন্দন ফটক তৈরী করা ছিলো চোখে পড়ার মতো। দশনার্থীদের বাড়তি আকর্ষনের জন্য ছিলো দৃষ্টিনন্দন আলোক সজ্জা।পূজা উপলক্ষ্যে জেলা শহরে বিভিন্ন এলাকায় মাস ব্যাপী বসেছে মেলা মেলায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কাঠের তৈরী উন্নত ফার্ণিচার, তৈজসপত্র, কম্বল, শিশুদের খেলনা সহ বিক্রয় হচ্ছে নানা আসবাপত্র।
মাগুরা জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাসুদেব কুন্ডু বলেন,শাস্ত্র মতে দাপর যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে পাবার আশায় ব্রজবাসীরা যমুনা নদীর তীরে বাংলা বছরের কার্তিক ও অগ্রাহায়নের মাঝামাঝি সময় কাত্যায়নী পূজা শুরু করে। ৫০ বছর পূর্বে মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালীতে সতীশ মাঝি তার বাড়িতে প্রথম এই পূজা শুরু করেন। তারপর থেকে এ পূজা মাগুরা  জেলার বিভিন্ন এলাকায় জাকজমকপূর্ণ ভাবে পালিত হয়ে আসছে। কাত্যায়নী পূজার প্রতিমা থেকে শুরু করে সবকিছুই দূর্গা পূজার আদলে করা হয়।
মাগুরা ঐতিবাহি কাত্যায়নী পূজার পরিচিত গোটা দেশ জুড়ে। এই পূজা দেখতে দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। নিরাপত্তার ছিলো জেলার তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিজিবি, ডিবি, গোয়েন্দা।মাগুরা জেলার কাত্যায়নী পূজার এই ৫টি দিন ব্যাপী মহা উৎসব আজ মহাদশমী প্রতিমা বিসর্জ্জনের মধ্য দিযে শেষ হয়েছে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ

error: Content is protected !!

মাগুরায় শেষ হলো ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজার মহাউৎসব ২০২৩

আপডেট টাইম : ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
মাগুরায় ৫ দিন ব্যাপী  ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা শেষ হয়েছে।প্রতিবছর দূর্গাপূজার পর জেলায় ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই পূজা উদযাপিত হয়।সে হিসাবে এ বছরের পূজা উৎসব গত ১৮ নভেম্বর  থেকে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে আজ ২৩ নভেম্বর দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই মহা উৎসব।
কাত্যায়নী উৎসব উপলক্ষে প্রতিবছর লাখো মানুষের ঢল নামে মাগুরায়।উৎসবে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের মিলন ঘটে এ উৎসবে।তবে এ বছর রাজনৈতিক দলের হরতাল অবরোধের কারণে দুর-দুরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও উৎসবের আমেজ ছিলো ঠিক আগের মতোই বলে জানান আয়োজকরা।
এবারের কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে জেলার ৪ উপজেলায় মোট ৯৪টি মন্ডপে প্রতিমা স্থাপিত হয়েছে দেবী কাত্যায়ানী।যার মধ্যে পৌর এলাকায় ১৯ টি, সদর উপজেলায় ২৬টি,  শ্রীপুরে ১৩টি, মহম্মদপুরে ০৮টি ও শালিখায় ২৮টি মন্ডপে কাত্যায়নী পূজার উৎসব  অনুষ্ঠিত হয়েছে।তবে মাগুরা শহরের ১৯টি মন্ডপ  সবচেয়ে বেশী জাকজমকপুর্ণ হয়েছে।শহরের পারনান্দুয়ালী, জামরুলতলা, সাতদোহাপাড়া, নতুন বাজার, বাটিকাডাঙ্গা, উপজেলা পাড়া শিবরামপুর, নান্দুয়ালীসহ প্রতিটি পূজা মন্ডপকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন গেট, প্যান্ডেল, তোরণ। আধুনিক লাইটিংয়ের মাধ্যমে সাজানো হয়েছিলো পূজা মন্ডপগুলো ।
পূজা উপলক্ষে  শহরের গুরুত্বপূর্ণ  স্থান ও  বিভিন্ন পূজা মন্ডপের প্রবেশ পথে দৃষ্টিনন্দন ফটক তৈরী করা ছিলো চোখে পড়ার মতো। দশনার্থীদের বাড়তি আকর্ষনের জন্য ছিলো দৃষ্টিনন্দন আলোক সজ্জা।পূজা উপলক্ষ্যে জেলা শহরে বিভিন্ন এলাকায় মাস ব্যাপী বসেছে মেলা মেলায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কাঠের তৈরী উন্নত ফার্ণিচার, তৈজসপত্র, কম্বল, শিশুদের খেলনা সহ বিক্রয় হচ্ছে নানা আসবাপত্র।
মাগুরা জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাসুদেব কুন্ডু বলেন,শাস্ত্র মতে দাপর যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে পাবার আশায় ব্রজবাসীরা যমুনা নদীর তীরে বাংলা বছরের কার্তিক ও অগ্রাহায়নের মাঝামাঝি সময় কাত্যায়নী পূজা শুরু করে। ৫০ বছর পূর্বে মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালীতে সতীশ মাঝি তার বাড়িতে প্রথম এই পূজা শুরু করেন। তারপর থেকে এ পূজা মাগুরা  জেলার বিভিন্ন এলাকায় জাকজমকপূর্ণ ভাবে পালিত হয়ে আসছে। কাত্যায়নী পূজার প্রতিমা থেকে শুরু করে সবকিছুই দূর্গা পূজার আদলে করা হয়।
মাগুরা ঐতিবাহি কাত্যায়নী পূজার পরিচিত গোটা দেশ জুড়ে। এই পূজা দেখতে দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। নিরাপত্তার ছিলো জেলার তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিজিবি, ডিবি, গোয়েন্দা।মাগুরা জেলার কাত্যায়নী পূজার এই ৫টি দিন ব্যাপী মহা উৎসব আজ মহাদশমী প্রতিমা বিসর্জ্জনের মধ্য দিযে শেষ হয়েছে।