দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মাগুরা-১ এবং মাগুরা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। শনিবার তার পক্ষে থেকে একজন প্রতিনিধি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। খুলনা বিভাগের বুথের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জী সাকিব আল হাসানের মনোনয়ন ফরম কেনার কথা নিশ্চিত করেছেন। ঢাকা-১০ আসনে তার মনোনয়ন ফরম কেনার খবর পাওয়া গেছে।
মাগুরা-১ এবং মাগুরা-২ আসনে সাকিব আল হাসানের মনোনয়ন ক্রয়ের খবরে নানা গুঞ্জন এবং এ জনপদের রাজনীতির মাঠে আলোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। তবে সিনিয়র রাজনীতি বিদদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছেন তিনটির মধ্যে যে কোন একটি আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড তাকে দিয়ে নির্বাচন করাবেন।
সাধারন ভোটার রা মনে করছেন মাগুরা-১ এ তার মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই। কারন, ক্রিকেটে সারাদেশে তার জনপ্রিয়তা থাকলেও মাগুরার রাজনীতিতে তার বিচরণ শুণ্যের কোঠায়। এবং এ এলকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে তার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। মাগুরার দু’টি আসনে তার মনোনয়ন কেনার বিষয়টি সাধারন মানুষের মধ্যে হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর সাদিক বলেন, মাগুরা-১ এ শাকিবের মনোনয়ন কেনার বিষয়টি হাস্যকর তবে ক্রীড়া তারকা হিসেবে তাকে ঢাকা-১০ আসন থেকে মনোনয়ন দিতে পারে। মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, শাকিব আল হাসানের পরিবার কখনোই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। বরং তার বাবা এবং মামাদের পরিবার বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। এমনকি সাকিবও কখনো আওয়ামী লীগের দলীয় কোন কর্মকান্ডে কখনো অংশ গ্রহন করেননি।
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন, শাকিব আল হাসান কখনো মাগুরার সাধারন মানুষের কোন কল্যাণে আসেনি। কেবল খেলার মাঠে ক্রীড়া অনুরাগীরা তাকে পছন্দ করে। মাঠের বাইরে না। খেলা এবং রাজণীতি সম্পূর্ণ আলা বিষয়।
এ বিষয়ে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদারের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
প্রিন্ট