ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কালুখালীতে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গাছ গুলোর আনুমানিক মূল্য  ২ লক্ষাধিক টাকা।
 বিষয়টি এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
বিদ্যালয়ের নাম হাড়িভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়। এটি কালুখালীর মাজবাড়ী ইউনিয়ন এর প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সাবেক চেয়ারম্যান জলিল মন্ডল  তার পুত্র সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়রুজ্জামান খায়ের মন্ডল ও সাবেক চেয়ারম্যান  হারুন মন্ডল নিজেদের জমি ও নগদ অর্থ দিয়ে ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
বিদ্যালয়ের গাছ কাটার কারন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানায়,গাছগুলো অনেক বড় হয়েছে। ভেঙ্গে পড়তে পারে তাই কাটা সভাপতির সাথে কথা বলে কাটা হচ্ছে। তিনি জানান, ৩ দিন ধরে শিশুগাছ কাটা হচ্ছে।  আরো ৬ গাছ কাটা হবে। গাছ কাটার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র নেওয়া হয়েছে।   তবে কোন প্রকার অনুমতির কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন,গাছের বয়স হয়েছে তাই কেটে ফেলা হচ্ছে। এজন্য কারো অনুমতি লাগে না। কালুখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার
এস এম নাসিম আক্তার জানায়, হাড়িভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়টি আমি কিছুই জানি না।
এলাকাবাসী জানায়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বিদ্যালয়ে এক প্রান্তে ছায়াদানের জন্য মাজবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের ১৯৮৫ সালে হাড়িভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে শতাধিক মেহগুনি, শিশু ও কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করেন। নানা প্রতিকুলতার কারনে অধিকাংশ চারা মারা গেলেও বেঁচে থাকে ১০ টি। এগুলো এখন বৃহত আকৃতির বৃক্ষ। পরিবেশের ভারসম্য রক্ষা ও ছায়াদান করায় এলাকাবাসী কাছে গাছগুলো মায়ের মতো। শিক্ষার্থীরা গাছগুলো তাদের পরম বন্ধু মনে করে। তাছাড়া গাছগুলো এলাকাবাসীর কাছে  সাবেক চেয়ারম্যান  বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়রুজ্জামান  খায়ের মন্ডল,তার ভাই হারন চেয়ারম্যান ও বাবা জলিল চেয়ারম্যানের  স্মৃতি বহন করে।
চেয়ারম্যান পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্র মস্তাক মন্ডল জানায়,  বিদ্যালয়ের দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা আমার বাবা ও দুই ভাই। তারা মাজবাড়ী ইউনিয়নবাসীর নয়নের মনি। বিদ্যালয়ের গাছগুলো প্রাক্তন ৩ চেয়ারম্যানের স্মৃতি। এই স্মৃতি নষ্ট করার কারো অধিকার নেই। তিনি বিদ্যালয়ের গাছ কাটা বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

কালুখালীতে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
সাহিদা পারভীন, কালুখালী (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি :
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গাছ গুলোর আনুমানিক মূল্য  ২ লক্ষাধিক টাকা।
 বিষয়টি এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
বিদ্যালয়ের নাম হাড়িভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়। এটি কালুখালীর মাজবাড়ী ইউনিয়ন এর প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সাবেক চেয়ারম্যান জলিল মন্ডল  তার পুত্র সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়রুজ্জামান খায়ের মন্ডল ও সাবেক চেয়ারম্যান  হারুন মন্ডল নিজেদের জমি ও নগদ অর্থ দিয়ে ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
বিদ্যালয়ের গাছ কাটার কারন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানায়,গাছগুলো অনেক বড় হয়েছে। ভেঙ্গে পড়তে পারে তাই কাটা সভাপতির সাথে কথা বলে কাটা হচ্ছে। তিনি জানান, ৩ দিন ধরে শিশুগাছ কাটা হচ্ছে।  আরো ৬ গাছ কাটা হবে। গাছ কাটার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র নেওয়া হয়েছে।   তবে কোন প্রকার অনুমতির কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন,গাছের বয়স হয়েছে তাই কেটে ফেলা হচ্ছে। এজন্য কারো অনুমতি লাগে না। কালুখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার
এস এম নাসিম আক্তার জানায়, হাড়িভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়টি আমি কিছুই জানি না।
এলাকাবাসী জানায়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বিদ্যালয়ে এক প্রান্তে ছায়াদানের জন্য মাজবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের ১৯৮৫ সালে হাড়িভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে শতাধিক মেহগুনি, শিশু ও কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করেন। নানা প্রতিকুলতার কারনে অধিকাংশ চারা মারা গেলেও বেঁচে থাকে ১০ টি। এগুলো এখন বৃহত আকৃতির বৃক্ষ। পরিবেশের ভারসম্য রক্ষা ও ছায়াদান করায় এলাকাবাসী কাছে গাছগুলো মায়ের মতো। শিক্ষার্থীরা গাছগুলো তাদের পরম বন্ধু মনে করে। তাছাড়া গাছগুলো এলাকাবাসীর কাছে  সাবেক চেয়ারম্যান  বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়রুজ্জামান  খায়ের মন্ডল,তার ভাই হারন চেয়ারম্যান ও বাবা জলিল চেয়ারম্যানের  স্মৃতি বহন করে।
চেয়ারম্যান পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্র মস্তাক মন্ডল জানায়,  বিদ্যালয়ের দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা আমার বাবা ও দুই ভাই। তারা মাজবাড়ী ইউনিয়নবাসীর নয়নের মনি। বিদ্যালয়ের গাছগুলো প্রাক্তন ৩ চেয়ারম্যানের স্মৃতি। এই স্মৃতি নষ্ট করার কারো অধিকার নেই। তিনি বিদ্যালয়ের গাছ কাটা বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

প্রিন্ট