ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনে জাতীয় সংবিধান দিবস পালন

বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবনে যথাযথ মর্যাদা ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ পালিত হয়েছে। সোমবার পর্তুগালের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় জাতীয় সংবিধান দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশিগণ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশ গ্রহণ করেন।

‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের -এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর, সংবিধান প্রণেতাগন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবি, জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর ‘ জাতীয় সংবিধান দিবস- ২০২৩’ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে ১০ এপ্রিল ১৯৯৭২ সালে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন যারা মাত্র ৬ মাসের মধ্যে জাতিকে একটি খসড়া সংবিধান উপহার দেন। মাত্র ৬ মাসের মধ্যে একটি খসড়া সংবিধান প্রনয়ণ পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।

 

বাংলাদেশের সংবিধানে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য ও ক্ষমতায়ন তথাপি জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার সকল বিধান নিশ্চিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমাদের সংবিধান আমাদের গর্ব, এর মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। সংবিধানের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর বিশদ আলোকপাত করে যেকোনো পরিস্থিতিতে মহান সংবিধান সমুন্নত রাখার ব্যাপারে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরিশেষে, তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদেরকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লালপুরে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সরল আটক

error: Content is protected !!

বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনে জাতীয় সংবিধান দিবস পালন

আপডেট টাইম : ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩
কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো প্রধান :

বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবনে যথাযথ মর্যাদা ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ পালিত হয়েছে। সোমবার পর্তুগালের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় জাতীয় সংবিধান দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশিগণ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশ গ্রহণ করেন।

‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের -এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর, সংবিধান প্রণেতাগন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবি, জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর ‘ জাতীয় সংবিধান দিবস- ২০২৩’ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে ১০ এপ্রিল ১৯৯৭২ সালে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন যারা মাত্র ৬ মাসের মধ্যে জাতিকে একটি খসড়া সংবিধান উপহার দেন। মাত্র ৬ মাসের মধ্যে একটি খসড়া সংবিধান প্রনয়ণ পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।

 

বাংলাদেশের সংবিধানে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য ও ক্ষমতায়ন তথাপি জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার সকল বিধান নিশ্চিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমাদের সংবিধান আমাদের গর্ব, এর মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। সংবিধানের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর বিশদ আলোকপাত করে যেকোনো পরিস্থিতিতে মহান সংবিধান সমুন্নত রাখার ব্যাপারে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরিশেষে, তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদেরকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।


প্রিন্ট