বরগুনার আমতলীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিচারের দাবি ভুক্তভোগী স্বজনদের।
জানা গেছে, ২০১৯ উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের খুড়িয়াখেয়াঘাট গ্রােেমর সামসুল হক সিকদার এর মেয়ে সাদিয়া (২০) এর সাথে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের অফিসবাজার এলাকার আব্দুল হক মীরার ছেলে রাশিদুল ইসলাম পাবেল (২২)এর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুক দাবি করে বাপের বাড়ী থেকে টাকা পয়সা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে আসছে স্বামী পাবেল ও তার বাড়ীর লোকজন । টাকা এনে দিতে অস্বিকার করায় প্রায়ই সাদিয়ার উপর চালাত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
আহত গৃহবধূ সাদিয়া জানায়, বিয়ের পর থেকে প্রতিনিয়ত যৌতুক (বাপের বাড়ী থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য) এনে দেয়ার জন্য স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
রবিবার রাতে যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বাশুরী মিলে সাদিয়াকে বেদম প্রহার করে। সাদিয়াকে মারধোরের খবর পেয়ে সাদিয়ার বাপের বাড়ীর লোকজন সাদিয়াকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সাদিয়া বর্তমানে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সাদিয়ার পিতা সামসুল হক সিকদার বলেন যৌতুকের জন্য আমার মেেেয়কে মারধোর ও নির্যাতন করেছে জামাতা পাবেল ও তার বাড়ীর লোকজন । আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে আহত সাদিয়ার স্বামী পাবেল মারধোরের কথা অস্বিকার করেন। আহত সাদিয়ার মাতা খাদিজা বেগম বলেন জামাতা পাবেলের নির্যাতনে আমার মেয়ে প্রায় শেষ । মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সাদিয়ার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিন্থ রয়েছে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখায়াত হোসেন তপু বলেন,এখোনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।