রাজধানীতে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বাসায় বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকায় শনিবার দুপুর থেকে গতকাল রবিবার রাত পর্যন্ত ৬৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশের দিন সহিংসতায় পুলিশ সদস্য নিহত ও যানবাহনে আগুন-ভাঙচুরসহ নাশকতার অভিযোগে ঢাকার ২১টি থানায় ২৮টি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দেড় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, শনিবার দুপুরে মহাসমাবেশের সময় থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশে দলটির ৯৬০ জনকে আটক করা হয়েছে। আর গত পাঁচ দিনে আটক করা হয়েছে ২ হাজার ৬৪০ জনকে।
রাজধানীতে অভিযান : গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে ডিবির একটি দল। ভোর ৫টা থেকে গুলশান ২ নম্বরে তার বাসা ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরে ডিবির কর্মকর্তারা ফখরুলের বাসায় প্রবেশ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে যেতে হবে বললে মির্জা ফখরুল ১০ মিনিট সময় চান। পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে সময় দিলে তিনি প্রস্তুতি নিয়ে তাদের সঙ্গে মাইক্রোবাসে ওঠেন। পরে তাকে ডিবির কার্যালয়ে আনা হয়।
আটকের বিষয়ে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এভাবে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমার বলার কোনো ভাষা নেই। তিনি অসুস্থ, প্রচন্ড অসুস্থ। তার প্রচন্ড কাশি, ফুসফুসের সমস্যা। বাংলাদেশে ট্রিটমেন্ট করেন, সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলেন।’ তিনি বলেন, যাওয়ার সময় তারা বাসার ভেতরের সিসি ক্যামেরার ডিভাইস এবং অ্যাপার্টমেন্টে নিচের সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে গেছে।
রাত সোয়া ৮টায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পল্টন থানার একটি মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
১২ ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১০টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পুলিশ রিমান্ড আবেদন করেনি। এর আগে রাত পৌনে ৯টার দিকে ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও আইনজীবীরা ডিবি কার্যালয়ে যান।
মির্জা ফখরুলের বাসায় অভিযান শেষে পুলিশের আরেকটি দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের বাসায় অভিযান চালায়। সকাল ৯টার দিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বনানীর বাসায় দুটি ফ্ল্যাটে পুলিশ তল্লাশি চালায়। তবে ওই সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। তার ছেলে ইসরাফিল খসরু সাংবাদিকদের বলেন, সকালে ডিবি সদস্যরা এসে তার বাবাকে খুঁজতে তল্লাশি চালান। তারা বাসার প্রতিটি কক্ষ খুঁজে দেখেন। তিনি জানান, ডিবি সদস্যরা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পাসপোর্ট এবং তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট পর সেগুলো ফেরত দেন। তিনি আরও বলেন, তার বাবা কোথায় আছেন, তা ডিবি সদস্যরা জানতে চেয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার সাংবাদিকদের বলেন, ইশরাক হোসেনের গুলশানের বাসায় তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই ইশফাক হোসেন ও গাড়িচালক রাজীবকে নিয়ে গেছেন ডিবি সদস্যরা। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের লালমাটিয়া বাসায় পুলিশ গেলেও তাকে পায়নি। তবে তার ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ। পরে আলালের বনানীর বাসায় অভিযান চালালেও তাকে পাওয়া যায়নি।
গতকাল দুই দফায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসা পুলিশ ঘেরাও করে। তবে তাকে বাসায় না পেয়ে ডিবি ফিরে যায়। এ বিষয়ে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস জানান, শনিবার গভীর রাতে একবার পুলিশ আসে। আব্বাসকে না পেয়ে পুলিশ চলে যায়। আবার আজ (গতকাল) সকালে পুলিশ বাসায় আসে। এ সময়েও তাকে না পেয়ে পুলিশ চলে যায়। মির্জা আব্বাস কোথায় আছেন, জানি না। বিএনপির উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। তাকে না পেয়ে তার ছোট ছেলে তাজওয়ার এম আউয়ালকে আটক করে ডিবির কার্যালয়ে আনা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তার ব্যক্তিগত সহকারী নাজমুল হুদা রাজু। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী রিপনকে আটক করে পুলিশ।
বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা আটক : গতকাল দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডিবির কার্যালয়ে আনা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, আরেফী যুক্তরাষ্ট্র পালানোর জন্য বিমানবন্দরে গিয়েছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় আরেফী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। জাহিদুল ইসলাম আরেফীর ডাক নাম বেল্লাল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে থাকেন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়।
নয়াপল্টন থেকে ১০ ধরনের আলামত সংগ্রহ : গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ১০ ধরনের আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। এসব আলামত কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সদস্যরা। সিআইডির ৯ সদস্যের একটি দল নয়াপল্টনের ক্রাইম সিন হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় প্রবেশ করে এবং আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করে। দুই ঘণ্টা ধরে তারা আলামত সংগ্রহ করে।
ক্রাইম সিন ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ১০ ধরনের আলামত সংগ্রহ করেছি। এখন এগুলো ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। ল্যাব থেকে রিপোর্ট করবে এখানে কী ধরনের এক্সপ্লেশন আছে, বিস্ফোরক আছে তা জানা যাবে। এগুলো কতদিনের সময়ে ফলাফল পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় ল্যাবরেটরিতে যাবে। সময় আমরা বলতে পারব না।
‘পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার নিশ্চিতে যা যা দরকার করা হবে’ : বিএনপির মহাসমাবেশের দিন রাজধানীর বক্স কালভার্ট এলাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্য আমিরুল পারভেজকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিতে যা যা দরকার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান। গতকাল তিনি রাজারবাগে নিহত পুলিশ সদস্যকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। নিহত পারভেজের পরিবারের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতিটি সদস্য একটি পরিবার। আজ থেকে আমিরুল পারভেজের পরিবারটি আমাদের পরিবার। তার ছোট কন্যার পড়ালেখা এবং তার ভরণপোষণের যাবতীয় ব্যবস্থা করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ। পারভেজের বাড়িতে একটি ঘর নেই। তার ঘরসহ যা যা করার লাগে আমরা করব।’
পুলিশ হত্যাকারীদের যেখানে দেখা হবে সেখানেই গ্রেপ্তার : পুলিশের ওপর এমন হামলা ও পুলিশের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। গতকাল সকালে তিনি বলেন, ‘যারা পুলিশ হত্যা করেছে গণমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে সবাইকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
২৮ মামলায় দেড় সহস্রাধিক আসামি : সমাবেশ কেন্দ্র করে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে এবং আইনশৃঙ্খলা ও সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ২৮টি মামলা হয়েছে। রবিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, খিলগাঁও, রামপুরা, মুগদা থানায় একটি করে, শাহজাহানপুর থানায় ছয়টি, ডেমরা, ওয়ারী, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, পল্লবী, কাফরুল, দারুসসালাম, শাহআলী, রূপনগর, ভাসানটেক, বাড্ডা ও উত্তরা পূর্ব থানায় একটি করে এবং ভাটারা ও হাতিরঝিল থানায় দুটি করে মামলা হয়েছে।
শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৪৮ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৭০০-৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
এদিকে গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগে শাহজাহানপুর থানায় আরও দুটি মামলায় হয়েছে। একটি করেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. নাছিমুল কবির (৫১)। অন্যটি করেছেন খিলগাঁও ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম।
সারা দেশে গ্রেপ্তার ৫ শতাধিক : নাশকতা ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫০৩ জনকে আটক ও গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে। আমাদের সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার রাতে সন্দেহভাজন ৩৪ বাসযাত্রী এবং গতকাল বিকেলে স্থানীয় বিএনপির তিন কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের দহিসারা গ্রামে ইকরাম হোসেন লাভলু নামে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে শনিবার রাতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। এ সময় বিএনপি নেতা বাড়িতে ছিলেন না। পরে পুলিশ তার স্ত্রী রেঞ্জুয়ারা বেগমের (৪০) সঙ্গে কথা বলে। অভিযানের একপর্যায়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রেঞ্জুয়ারা বেগম মারা যান। তবে এমন ঘটনার কিছু জানা নেই বলে জানান নগরকান্দা থানার এক কর্মকর্তা।
জামালপুরে বিএনপি-জামায়াতের ৫০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। বরগুনার তালতলী সদর বাজার থেকে বিএনপি নেতা গাজী মহিবুল্লাকে আটক করেছে পুলিশ।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলালকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুমকিতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. সাইফুল্লাহ জাহান মানিক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাটোরের সিংড়া পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহিদুল ইসলামসহ পাঁচ বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজীপুরের কাপাসিয়ায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
এ ছাড়া নোয়াখালীতে ৮৪, রাজশাহীতে ৭০, গাইবান্ধায় ৫, নারায়ণগঞ্জে ১৬, ফেনীতে ৩, কুমিল্লায় ২৫, গাজীপুরে ১৯, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, উল্লাপাড়াসহ ১১ উপজেলা থেকে ১৪৭, ঠাকুরগাঁওয়ে ১, মুন্সীগঞ্জে ২, ঝালকাঠিতে ১৮ এবং সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৮ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সামিউল আলম জানান, গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধাদান ও নাশকতার অভিযোগে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।