ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিত্যক্ত ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের উত্তর উত্তমপুর গ্রামে ২৭ অক্টোবর শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় মৃত মানিক সরদারের ছেলে মোঃ বাবুল সরদারের সাথে একই বাড়ির মৃত আবদুল মালেক এর দুই ছেলে মোঃ আল আমিন ও মোঃ আজিজ’র জমাজমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলমান রয়েছে। যার কারনে ৭ অক্টোবর ২৩ তারিখে বাবুল সরদারকে আল আমিন এবং আজিজ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে হামলার ঘটনায় বাবুল সরদারের স্ত্রী ১৩ অক্টোবর ২৩ তারিখে বাদি হয়ে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। গুরুতর আহত বাবুল সরদার চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলে কাউন্টার মামলা করতে আল আমিন ও আজিজ তাদের মা নুরজাহান বেগমের সিডরের সময়ে ত্রানে পাওয়া এক কক্ষের একটি জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত ঘরে আগুনের নাটক সাজায়। বর্তমানে এই ঘরে কেউ থাকেও না এবং ঘরে কোনো জিনিসপত্রও ছিল না।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী আল আমিন বলেন, বাবুল সরদারের খুবই প্রভাবশালী এবং টাকার মালিক হওয়ায় আমাদের দমন করতে সব সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। যেই ঘরে তারা আগুন দিয়েছে সেই ঘরটা আমাদের জায়গায়। কিন্তু ওই জায়গার মালিকানা তারা দাবি করে আমাদের সব সময় ঘর সরিয়ে নিয়ে যেতে বলত। আমরা সরিয়ে না নেয়ায় তারা আগুন দিয়েছে। দুর থেকে আমরা আগুন দিতে দেখে কাছে আসতেই বাবুল সরদারের লোকজন পালিয়ে যায়। এছাড়া ওই ঘরে আমাদের মা থাকতো আর জায়গাজমির সব কিছু আমার মা’ই জানে, তাই মাকে মেরে ফেলাও তাদের উদ্দেশ্য ছিল। এ ঘটনায় বিচারের আশায় মামলার প্রকৃয়া চলমান রয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আবদুল খালেক বলেন, আমরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আগুন লাগার কারন খুজে পাওয়া যায় নি। তবে ঘরের ভিতরে তেমন কোনো মাল না থাকায় ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৪০ হাজার টাকা বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী রাজাপুর থানার এস আই মাধব চন্দ্র দে বলেন, যাদের ঘরে আগুন লেগেছে তারা প্রতিপক্ষকে দায়ী করছে। তাদের সাথে একই বাড়ির এক গ্রুপের সাথে জমিজমা নিয়ে ঝামেলা রয়েছে এবং মামলাও চলমান। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
প্রিন্ট