নরসিংদীতে নাশকতার মামলায় ছাত্র শিবিরের তিন নেতাকর্মীকে আটকের তথ্য পাওয়া গেছে। নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া একপ্রেস বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য যে নরসিংদীতে গত ২৯/০৭/২৩ ইং সংঘটিত নাশকতার ঘটনায় রুজুকৃত নরসিংদি মডেল থানার মামলা নং ৫৩ তাং ২৯/০৭/২৩ ধারা বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/ ২৫ – ডি এর তদন্তে প্রকাশিত, গ্রেফতারকৃত আসামীরা হল। ১) মোঃ বিল্লাল হোসাইন (২২), পিতা-বাচ্চু মিয়া, সাং-মাহমুদপুর, থানা-রায়পুরা।
২) শফিকুল ইসলাম(১৯), পিতা-সানা উল্লাহ, সাং-লেবুতলা জালপাড়া, থানা-মনোহরদী। ৩) আরাফাত(১৯), পিতা-আতাউর রহমান, সাং- চকতাতারদী, থানা- মনোহরদী, সর্ব এ/পি- গাবতলী তিতাস রোড মকবুল মাস্টার এর বাড়ির ভাড়াটিয়া।
নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম, এর নির্দেশনায় (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১:৩০ মিনিটে গাবতলি এলাকায়, নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব কে এম শহীদুল ইসলাম সোহাগ ও অফিসার ইনচার্জ, নরসিংদী মডেল থানা আবুল কাশেম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে নরসিংদী মডেল থানার একদল চৌকস অফিসার অভিযান পরিচলনা করে। নরসিংদী গাবতলি মাদ্রাসা সংলগ্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও জেলা জামাতের কোষাধ্যক্ষ মকবুল হোসেনের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেন।
আসামিদের ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন সহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উক্ত আসামীরা উল্লেখিত মামলার ঘটনায় জড়িত থাকা সাপেক্ষে তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রাষ্ট্র বিরোধী নাশকতা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার যে কোন চেস্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার জানান।
১ নং আসামী বিল্লাল হোসেন গাবতলি জামেয়া কাশেমিয়ার সাবেক শিক্ষার্থী এবং শফিকুল ও আরাফাত বর্তমান শিক্ষার্থী এবং ছাত্র শিবিরের সাথী বলে জানা যায়। উক্ত মকবুল হোসেনের বাড়িটি জামাত শিবিরের ও নাশকতামূলক কাজের সাথে জড়িতদের আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলে প্রকাশ পায়। উক্ত মকবুল ও তার অপরাপর সযগীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রিন্ট