ঢাকা , সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কালুখালীতে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার Logo বাঘায় বিস্ফোরক মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালাল বিরোধী অভিযান অব্যাহতঃ রোগীদের স্বস্তি, পুলিশের কঠোর অবস্থান Logo নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়েকের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা Logo সদরপুরে গাঁজা, ইয়াবা ও হেরোইনসহ ৩জন গ্রেপ্তার Logo রাজশাহীতে জমি দখল করতে না পেরে মিথ্যা মামলা, সংবাদ সম্মেলন Logo ফরিদপুরে পেনশনের টাকা হিসাবে যুক্ত হয়ে আবার ফেরৎ যাওয়ায় বিপাকে ৪৯ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারি Logo ভূরুঙ্গামারীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, দামে হতাশ কৃষক Logo ছোটগল্পঃ জৈষ্ঠ্যের দিনগুলি Logo রাত থেকে নিখোঁজ, ভোরে ডোবায় মিললো কিশোরের দগ্ধ মরদেহ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নিষিদ্ধ মৌসুমে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দৌলতপুরের হাটে বাজারে

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রশাসনের ঢিলেঢালা অভিযানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে কিছু অসাধু ও মৌসুমি জেলে পদ্মা নদীতে মা-ইলিশ শিকার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে গেল ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ টানা দিন মা-ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

মাছ ধরা বন্ধ রাখলেও যেন জেলেদের খাদ্যের অভাব না হয় সে কারণে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের জেলেদের জন্য জন প্রতি ২৫ কেজি করে বরাদ্দের চাল দিয়ে সহায়তা করেছে সরকার। তবে নিষেধ অমান্য করে উপজেলার পদ্মা নদী এলাকায় মা-ইলিশ ধরা ও বিক্রয় করা হচ্ছে নিয়মিত। বুধবার সকালে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ বাজারে মাছ বিক্রি করতে দেখাযায় এক মাছ ব্যাবসায়িকে। এদিকে প্রশাসন বলছে ইলিশ রক্ষায় প্রতিদিন তাদের অভিযান অব্যহত রয়েছেন।

অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মরিচা ও ফিলিপ নগর ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা বলেন পদ্মা নদীতে নিয়মিত ইলিশ ধরছে জেলেরা। তাছাড়া প্রাসনেরও তেমন কোন অভিযান চোখে পড়ে না বলেও জানান তারা।

ঘটনার সত্যতা শিকার করে হোসেনাবাদ বাজার কমিটির সভাপতি মুতাছিম বিল্লাহ বলেন হোসেনাবাদ বাজারে এক ব্যক্তি ইলিশ মাছ বিক্রি করতে এসেছিল। নিষিদ্ধ মৌসুমে ইলিশ কোথায় পেয়েছেন? এলাকাবাসীর এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে ওই মাছ বিক্রেতা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেছেন।

দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ স্বপন বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। কিন্তু দৌলতপুর পদ্মা নদীটা বড় হওয়ার কারণে অভিযানে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছেনা বলে জানান এই কর্মকর্তা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন আমাদের অভিযান চলমান আছে। কিন্তু আমরা অভিযানে গেলে জেলেরা দ্রুতগামী নৌকা নিয়ে আমাদের এলাকা ত্যাগ করে অন্যান্য জেলা বা উপজেলার সীমানায় চলে যায়। এজন্য আমাদের অভিযান অনেকটাই ব্যাহত হয়। তবে আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কালুখালীতে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

error: Content is protected !!

নিষিদ্ধ মৌসুমে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দৌলতপুরের হাটে বাজারে

আপডেট টাইম : ০৬:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রশাসনের ঢিলেঢালা অভিযানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে কিছু অসাধু ও মৌসুমি জেলে পদ্মা নদীতে মা-ইলিশ শিকার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে গেল ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ টানা দিন মা-ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

মাছ ধরা বন্ধ রাখলেও যেন জেলেদের খাদ্যের অভাব না হয় সে কারণে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের জেলেদের জন্য জন প্রতি ২৫ কেজি করে বরাদ্দের চাল দিয়ে সহায়তা করেছে সরকার। তবে নিষেধ অমান্য করে উপজেলার পদ্মা নদী এলাকায় মা-ইলিশ ধরা ও বিক্রয় করা হচ্ছে নিয়মিত। বুধবার সকালে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ বাজারে মাছ বিক্রি করতে দেখাযায় এক মাছ ব্যাবসায়িকে। এদিকে প্রশাসন বলছে ইলিশ রক্ষায় প্রতিদিন তাদের অভিযান অব্যহত রয়েছেন।

অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মরিচা ও ফিলিপ নগর ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা বলেন পদ্মা নদীতে নিয়মিত ইলিশ ধরছে জেলেরা। তাছাড়া প্রাসনেরও তেমন কোন অভিযান চোখে পড়ে না বলেও জানান তারা।

ঘটনার সত্যতা শিকার করে হোসেনাবাদ বাজার কমিটির সভাপতি মুতাছিম বিল্লাহ বলেন হোসেনাবাদ বাজারে এক ব্যক্তি ইলিশ মাছ বিক্রি করতে এসেছিল। নিষিদ্ধ মৌসুমে ইলিশ কোথায় পেয়েছেন? এলাকাবাসীর এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে ওই মাছ বিক্রেতা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেছেন।

দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ স্বপন বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। কিন্তু দৌলতপুর পদ্মা নদীটা বড় হওয়ার কারণে অভিযানে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছেনা বলে জানান এই কর্মকর্তা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন আমাদের অভিযান চলমান আছে। কিন্তু আমরা অভিযানে গেলে জেলেরা দ্রুতগামী নৌকা নিয়ে আমাদের এলাকা ত্যাগ করে অন্যান্য জেলা বা উপজেলার সীমানায় চলে যায়। এজন্য আমাদের অভিযান অনেকটাই ব্যাহত হয়। তবে আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।


প্রিন্ট