ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী Logo কালুখালীতে স্বাস্থ্য সেবার মান পরিবর্তন! Logo কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টিটু সুমন ও টুকটুকি বিজয়ী Logo ফরিদপুর তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা Logo তানোরে চেয়ারম্যান পদে ময়না, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর রেজা ও সোনিয়া নির্বাচিত Logo বাঘায় তিরস্কারমূূলক কথা বলার জেরে মারধর, আহত-৪ Logo নলছিটিতে চোরাই অটোরিকশাসহ আটক -২ Logo তীব্র গরমে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী Logo কুষ্টিয়া বিএডিসি (সার) অফিসের এডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ Logo কুষ্টিয়া ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলাঃ আচরণ‌বি‌ধি লঙ্ঘ‌নের অ‌ভি‌যো‌গে কাউন্সিলর আটক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আত্রাইয়ে নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তলন করে চলছে ভাঙ্গা বাঁধ ভরাটের কাজ

নওগাঁর আত্রাই নদীর আত্রাই কাশিয়াবাড়ী বলরম চক শ্মশানঘাট এলাকায় পানির চাপে ভেঙ্গে যাওয়া নদীর বাঁধ কাম পাকা সড়ক মেরামতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। বাঁধটি মাটি দিয়ে ভরাট না করে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের নিকটে নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন,গত ১০/১২ দিন ধরে ভাঙ্গা অংশে মাত্র একশত / দেড়শ গজ দুরে নদীর মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপ দিয়ে সরাসরি বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। এতে যে কোন সময় দেবে গিয়ে আবারো বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে বলে আশষ্কা স্থানীয়দের।

জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পানির চাপে কাশিয়াবাড়ী-ইসলামগাথী বাঁধ কাম পাকা সড়ক প্রায় ৯০মিটার ভেঙ্গে যায়। এতে বেশ কয়েকটি বাড়ী পানির তোরে বিলিন হয়ে যায়। নদীতে অব্যাহত পানির চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকায় অনেক চেষ্টা করেও আটকাতে পারেনি সংশ্লিষ্ঠরা। এর পর নদীতে পানির চাপ কমতে থাকলে জরুরিভাবে বাঁধ মেরামতে এগিয়ে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এতে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামত করার কাজ দেয়া হয় রাজশাহীর ঠিকাদার খাজা তারেক নামক প্রতিষ্ঠানকে। এর পর বাঁশের খুঁটি পুতে দুই পাশে বস্তায় বালু ভরে পানির প্রবাহ আটকানো হয়। এর পর মাঝখানে বাঁধ কাম পাকা সড়ক পুন:নির্মান করতে মাটি না ফেলে বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,যেখানে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে, সেখানে ভাঙ্গা অংশের মাত্র একশ/দেড়শ গজ দুরে নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে পাইপ দিয়ে সরাসরি বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে।

গত ১০/১২ দিন ধরে এই বালু উত্তোলনের কাজ চলছে। তারা আশংকা করে বলছেন,সম্পন্ন মাটি না দিয়ে শুধু বালু দিয়ে বাঁধ কাম সড়ক নির্মান করলে আবারো বন্যা আসলে এই বালুর বাঁধ ঠিকে থাকবেনা। এছাড়া নদীতে বালু উত্তোলনের স্থান দেবে গেলে আবারো বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। এতে সরকার টাকা ব্যায় করলেও কোন কাজে আসবে না।

স্থানীয় হামিদুল ইসলাম বলেন, যেখানে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে সেখান থেকেই বালু তুলে ভরাট করা হচ্ছে। এতে খুব বেশি উপকারে আসবে না। সাময়িকভাবে বাঁধ মেরামতের মাধ্যমে চলাচল করা যাবে। কিন্তু বন্যা আসলে বালুর বাঁধ আবারো ভেঙ্গে যাবে। তাই বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে বাঁধ সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
পানির তোরে বাড়ীহারা মুসলেমা বিবি বলেন,ভাঙ্গার নিকটে নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ১০/১২দিন ধরে বালু উত্তোলন করে সরাসরি পাইপ দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ফলে যেখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেই স্থান ভবিষ্যতে দেবে গেলে বাঁধও দেবে ভেঙ্গে যেতে পারে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার গোলাম হোসেন বলেন, আমরা শুনেছি মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মান করবে। কিন্তু এখন দেখছি সম্পন্ন বালু দিয়ে ভরাট করছে। তাই টেকসই বাঁধ নির্মানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দাবি জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার খাজা তারেক অনিয়মের অভিযোগ অশিকার করে বলেন, আমরা শুধুমাত্র নিচের তলানীতে কিছুটা বালু দিয়ে ভরাট করে নিচ্ছি। এর পর উপরে মাটি দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হবে। এখন পর্যন্ত কোন এস্টিমেটই হয়নি জানিয়ে তিনি দাবি করে বলেন, আমরা যেভাবে কাজ করছি তাতে আগামী ২৫ বছর পর্যন্ত টেকসই হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন, বাঁধের দুই পাশে গর্তগুলো বালি দিয়ে এবং মাঝখানে মাটি দিয়ে ভরাট করতে বলা হয়েছে। অনিয়ম হলে ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী

error: Content is protected !!

আত্রাইয়ে নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তলন করে চলছে ভাঙ্গা বাঁধ ভরাটের কাজ

আপডেট টাইম : ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

নওগাঁর আত্রাই নদীর আত্রাই কাশিয়াবাড়ী বলরম চক শ্মশানঘাট এলাকায় পানির চাপে ভেঙ্গে যাওয়া নদীর বাঁধ কাম পাকা সড়ক মেরামতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। বাঁধটি মাটি দিয়ে ভরাট না করে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের নিকটে নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন,গত ১০/১২ দিন ধরে ভাঙ্গা অংশে মাত্র একশত / দেড়শ গজ দুরে নদীর মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপ দিয়ে সরাসরি বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। এতে যে কোন সময় দেবে গিয়ে আবারো বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে বলে আশষ্কা স্থানীয়দের।

জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পানির চাপে কাশিয়াবাড়ী-ইসলামগাথী বাঁধ কাম পাকা সড়ক প্রায় ৯০মিটার ভেঙ্গে যায়। এতে বেশ কয়েকটি বাড়ী পানির তোরে বিলিন হয়ে যায়। নদীতে অব্যাহত পানির চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকায় অনেক চেষ্টা করেও আটকাতে পারেনি সংশ্লিষ্ঠরা। এর পর নদীতে পানির চাপ কমতে থাকলে জরুরিভাবে বাঁধ মেরামতে এগিয়ে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এতে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামত করার কাজ দেয়া হয় রাজশাহীর ঠিকাদার খাজা তারেক নামক প্রতিষ্ঠানকে। এর পর বাঁশের খুঁটি পুতে দুই পাশে বস্তায় বালু ভরে পানির প্রবাহ আটকানো হয়। এর পর মাঝখানে বাঁধ কাম পাকা সড়ক পুন:নির্মান করতে মাটি না ফেলে বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,যেখানে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে, সেখানে ভাঙ্গা অংশের মাত্র একশ/দেড়শ গজ দুরে নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে পাইপ দিয়ে সরাসরি বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে।

গত ১০/১২ দিন ধরে এই বালু উত্তোলনের কাজ চলছে। তারা আশংকা করে বলছেন,সম্পন্ন মাটি না দিয়ে শুধু বালু দিয়ে বাঁধ কাম সড়ক নির্মান করলে আবারো বন্যা আসলে এই বালুর বাঁধ ঠিকে থাকবেনা। এছাড়া নদীতে বালু উত্তোলনের স্থান দেবে গেলে আবারো বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। এতে সরকার টাকা ব্যায় করলেও কোন কাজে আসবে না।

স্থানীয় হামিদুল ইসলাম বলেন, যেখানে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে সেখান থেকেই বালু তুলে ভরাট করা হচ্ছে। এতে খুব বেশি উপকারে আসবে না। সাময়িকভাবে বাঁধ মেরামতের মাধ্যমে চলাচল করা যাবে। কিন্তু বন্যা আসলে বালুর বাঁধ আবারো ভেঙ্গে যাবে। তাই বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে বাঁধ সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
পানির তোরে বাড়ীহারা মুসলেমা বিবি বলেন,ভাঙ্গার নিকটে নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ১০/১২দিন ধরে বালু উত্তোলন করে সরাসরি পাইপ দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ফলে যেখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেই স্থান ভবিষ্যতে দেবে গেলে বাঁধও দেবে ভেঙ্গে যেতে পারে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার গোলাম হোসেন বলেন, আমরা শুনেছি মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মান করবে। কিন্তু এখন দেখছি সম্পন্ন বালু দিয়ে ভরাট করছে। তাই টেকসই বাঁধ নির্মানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দাবি জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার খাজা তারেক অনিয়মের অভিযোগ অশিকার করে বলেন, আমরা শুধুমাত্র নিচের তলানীতে কিছুটা বালু দিয়ে ভরাট করে নিচ্ছি। এর পর উপরে মাটি দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হবে। এখন পর্যন্ত কোন এস্টিমেটই হয়নি জানিয়ে তিনি দাবি করে বলেন, আমরা যেভাবে কাজ করছি তাতে আগামী ২৫ বছর পর্যন্ত টেকসই হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন, বাঁধের দুই পাশে গর্তগুলো বালি দিয়ে এবং মাঝখানে মাটি দিয়ে ভরাট করতে বলা হয়েছে। অনিয়ম হলে ক্ষতিয়ে দেখা হবে।