নওগাঁর আত্রাই নদীর আত্রাই কাশিয়াবাড়ী বলরম চক শ্মশানঘাট এলাকায় পানির চাপে ভেঙ্গে যাওয়া নদীর বাঁধ কাম পাকা সড়ক মেরামতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। বাঁধটি মাটি দিয়ে ভরাট না করে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের নিকটে নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন,গত ১০/১২ দিন ধরে ভাঙ্গা অংশে মাত্র একশত / দেড়শ গজ দুরে নদীর মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপ দিয়ে সরাসরি বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। এতে যে কোন সময় দেবে গিয়ে আবারো বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে বলে আশষ্কা স্থানীয়দের।
জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পানির চাপে কাশিয়াবাড়ী-ইসলামগাথী বাঁধ কাম পাকা সড়ক প্রায় ৯০মিটার ভেঙ্গে যায়। এতে বেশ কয়েকটি বাড়ী পানির তোরে বিলিন হয়ে যায়। নদীতে অব্যাহত পানির চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকায় অনেক চেষ্টা করেও আটকাতে পারেনি সংশ্লিষ্ঠরা। এর পর নদীতে পানির চাপ কমতে থাকলে জরুরিভাবে বাঁধ মেরামতে এগিয়ে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এতে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামত করার কাজ দেয়া হয় রাজশাহীর ঠিকাদার খাজা তারেক নামক প্রতিষ্ঠানকে। এর পর বাঁশের খুঁটি পুতে দুই পাশে বস্তায় বালু ভরে পানির প্রবাহ আটকানো হয়। এর পর মাঝখানে বাঁধ কাম পাকা সড়ক পুন:নির্মান করতে মাটি না ফেলে বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,যেখানে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে, সেখানে ভাঙ্গা অংশের মাত্র একশ/দেড়শ গজ দুরে নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে পাইপ দিয়ে সরাসরি বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে।
গত ১০/১২ দিন ধরে এই বালু উত্তোলনের কাজ চলছে। তারা আশংকা করে বলছেন,সম্পন্ন মাটি না দিয়ে শুধু বালু দিয়ে বাঁধ কাম সড়ক নির্মান করলে আবারো বন্যা আসলে এই বালুর বাঁধ ঠিকে থাকবেনা। এছাড়া নদীতে বালু উত্তোলনের স্থান দেবে গেলে আবারো বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। এতে সরকার টাকা ব্যায় করলেও কোন কাজে আসবে না।
স্থানীয় হামিদুল ইসলাম বলেন, যেখানে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে সেখান থেকেই বালু তুলে ভরাট করা হচ্ছে। এতে খুব বেশি উপকারে আসবে না। সাময়িকভাবে বাঁধ মেরামতের মাধ্যমে চলাচল করা যাবে। কিন্তু বন্যা আসলে বালুর বাঁধ আবারো ভেঙ্গে যাবে। তাই বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে বাঁধ সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
পানির তোরে বাড়ীহারা মুসলেমা বিবি বলেন,ভাঙ্গার নিকটে নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ১০/১২দিন ধরে বালু উত্তোলন করে সরাসরি পাইপ দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ফলে যেখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেই স্থান ভবিষ্যতে দেবে গেলে বাঁধও দেবে ভেঙ্গে যেতে পারে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার গোলাম হোসেন বলেন, আমরা শুনেছি মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মান করবে। কিন্তু এখন দেখছি সম্পন্ন বালু দিয়ে ভরাট করছে। তাই টেকসই বাঁধ নির্মানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দাবি জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার খাজা তারেক অনিয়মের অভিযোগ অশিকার করে বলেন, আমরা শুধুমাত্র নিচের তলানীতে কিছুটা বালু দিয়ে ভরাট করে নিচ্ছি। এর পর উপরে মাটি দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হবে। এখন পর্যন্ত কোন এস্টিমেটই হয়নি জানিয়ে তিনি দাবি করে বলেন, আমরা যেভাবে কাজ করছি তাতে আগামী ২৫ বছর পর্যন্ত টেকসই হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন, বাঁধের দুই পাশে গর্তগুলো বালি দিয়ে এবং মাঝখানে মাটি দিয়ে ভরাট করতে বলা হয়েছে। অনিয়ম হলে ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha