১৯৮৫ সালের মৎস্য সংরক্ষণ আইনের ৪ ধারায় উল্লেখ আছে নদ নদী খাল বিলে আড়াআরি ভাবে বাঁধ নির্মাণ করা যাবে না। এই আইন অমান্য করে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার চন্দনা নদীতে মাছ শিকার করছে একটি চক্র। এলাকাবাসী বিষয়টি কালুখালীর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকীকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।
বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার জন্য কালুখালীর কালিকাপুর ইউনিয়নের রায়নগর স্লুইসগেট এলাকায় দেখা হয় রহিম নামের একজন গ্রামবাসীর।
তিনি এই প্রতিনিধিকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যান নদীর ভাটির দিকে। ৫ শ মিটার পথ চলার পর গোপালপুর এলাকায় চোখে পড়ে নদীতে আড়াআরী বাঁধ। আড়াআরী বাঁধে স্থাপন করা হয়েছে ঘন সুতায় বানানো গুটি জাল। এ জালে নদীর পানি ছেকে বের হয়। ফলে রেনু,ধানী,ছোট বড় সব মাছই এ জালে আটকে মারা হয়।
তিনি এই প্রতিনিধিকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যান নদীর ভাটির দিকে। ৫ শ মিটার পথ চলার পর গোপালপুর এলাকায় চোখে পড়ে নদীতে আড়াআরী বাঁধ। আড়াআরী বাঁধে স্থাপন করা হয়েছে ঘন সুতায় বানানো গুটি জাল। এ জালে নদীর পানি ছেকে বের হয়। ফলে রেনু,ধানী,ছোট বড় সব মাছই এ জালে আটকে মারা হয়।
নিষিদ্ধ এ মৎস্য নিধনের ছবি তুললে এগিয়ে আসে দাউদ নামের এক মাছ শিকারী। কোন প্রশ্ন করার আগেই তিনি বলেন। মৎস অফিসা, ম্যাজিস্ট্রার ও দুজন সাংবাদিক ম্যানেজ করেছি। আপনার কিছু বলার থাকলে বলুন। নদীতে বেআইনি জাল স্থাপন কেন করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সামান্য কর্মচারী। জাল স্থাপন করেছে মনছুর মেম্বর। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুঠোফোনে মনছুর মেম্বর জানান, কালুখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকীর সাথে কথা বলে বাঁধ নির্মান করেছি। বিষয়টি জানার জন্য আবু বক্কর সিদ্দিকীকে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে বেআইনি বাঁধ নির্মান করায় কালুখালীর চন্দনা নদী মাছ শূন্য হয়ে গেছে। বিনাশ হচ্ছে নদীর রেনু ও ধানী পোনা।
প্রিন্ট