ঢাকা ভাঙ্গা রেলওয়ের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনকৃত জনসভায় ২টায় যোগদান করেন। রেলওয়ে উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের জীবন মান উন্নয়নের সমৃদ্ধের দ্বার খুলে গিয়েছে। সেই সাথে এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের ব্যপক সুবিধা পাবে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর জনসভায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ২ লাখ মানুষ সকাল থেকে ড. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়াম মাঠে সমাবৃত হয়। বোয়ালমারী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. হান্নান মোল্যার নেতৃত্বে ৪টি বাস ভরে প্রায় ৩’শ লোক নিয়ে জনসভায় অংশ গ্রহন করেন তিনি। ড. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের মাঠ ও গ্যালারীতে চোখ পড়তেই দেখা যায়,মাঠে আসা অধিকাংশ লোক মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর ছবি সম্বলিত হলুদ রংয়ের টি শার্ট এবং টিয়া কালারের ক্যাপ পরিধান করে জনসভায় অংশ নেয়।
জনসভায় সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে আহবান জানান এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। যা পারেন আবাদ করেন। আমরা বহির বিশ্বে আবাদকৃত ফসল রপ্তানি করবো। আমরা করো মুখাপেক্ষী হবো না।
বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশ অতিক্রম করে স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পণ করছে। জনসভায় আসা মানুষ এসময় তিনি মোবাইল ফোন বের করে দেখাতে বলেন। হাজার হাজার মানুষ ফোন উঁচু করে দেখালে। তিনি বলেন, বিএনপির আমলে একটি স্মার্টফোন ক্রয় করতে ১ থেকে দেড়লাখ টাকা লাগত। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার স্মার্টফোনের দাম কমিয়ে ১০ থেকে পনেরো হাজার করেছে। এটা করা একমাত্র আওয়ামী লীগের সরকারের পক্ষে সম্ভব।
তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমি একমাত্র আমার দেশের মানুষকে বিনা পয়সায় করোনার টিকা দিয়ে এ মহামারি কাটিয়ে উঠেছি। নারীদের দিয়েছি বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, দুগ্ধকালিন ভাতা, বয়স্ক ভাতা সহ নানা ধরণের ভাতার ব্যবস্তা করেছি, চিকিৎসা সেবার উন্নিত করণে ফরিদপুরে আড়াইশ বেড থেকে উন্নিতকরণ করে ৫০০ বেড করেছি। সেবার মান উন্নয়ন করতে প্রত্যেক জেলা হাসপাতালের চিত্র পাল্টে দিয়েছি। আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসলে ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিব।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশকে উন্নত করতে রাস্তা, ঘাট, সেতু, রেলপথ সহ কর্ণফুলি ট্যানেল করা হয়েছে। কিছুদিন পর কর্ণফুলি ট্যানেলের শুভ উদ্বোধন করা হবে। দেশে এত উন্নয়ন হয়েচে একমাত্র নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার কারণে। নৌকা মার্কা মানে স্বাধীনতার মার্কা, নৌকা মানে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি, নৌকা মানে ক্ষুধা মুক্ত, গৃহ ও ভূমিহীন মুক্ত মানুষের দেশ। আওয়ামী লীগের সরকার কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থার জন্য প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার উদ্যোগ নিয়েছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, কাজী জাফর উল্লাহ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ।
প্রিন্ট