ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বোয়ালমারীতে দেউলিয়া মিলটির পাশেই নতুন জুটমিল প্রতিষ্ঠিত করেছেন পরিচালনাকারীরা Logo মাগুরায় শত্রুজিৎপুর নূরুল ইসলাম দাখিল মাদরাসায় জালিয়াতি করে চাকরির অভিযোগ Logo মুকসুদপুরে সাংবাদিক হায়দারের কুশপুত্তলিকা দাহ Logo মুকসুদপুরে যুবদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ Logo তানোরে সার চোরাচালানের মহোৎসব! Logo ফরিদপুরে ৫ দিনব্যাপী ৮৬১ ও ৮৬২ তম কাব স্কাউট ইউনিট লিডার বেসিক কোর্স উদ্বোধন Logo রূপগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Logo বালিয়াকান্দির ‘উকুন খোটা’ স্কুল এখন দেশসেরা হওয়ার অপেক্ষায় Logo তানোরের নারায়নপুর স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান Logo বাঘায় গলা কেটে হত্যা, নিহতের ভাইরা ভাই রায়হান গ্রেপ্তার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কাশিয়ানীর ২৩২ মন্ডপে চলছে দুর্গোৎবের প্রস্তুতি

শরতের কাঁশফুল, ঢাকের বাদ্য আর প্রতিমা তৈরিতে কারিগরদের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। আগামী ২০ অক্টোবর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ২৪ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

 

এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ২৩২টি মন্ডপে চলছে প্রস্তুতি। দিনরাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।

 

এ বছর ঘটকে চরে দেবী দূর্গা মর্ত্য লোকে পদার্পন করবেন। আবার ঘটকেই কৈলাশে ফিরবেন।

 

অধিকাংশ পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর মূল কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন শুধু চলছে সাজ-সজ্জায় ও রংয়ের কাজ। সীমিত পরিসরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পূজামন্ডপগুলো।

 

প্রতিমা নির্মাণশিল্পী প্রভাষ পাল বলেন, ‘খড়, ছন ও কাঁদামাটি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিমা। এখন শুধু প্রতিমা পরিপূর্ণ রূপ দিতে রং তুলির শেষ আচড় দেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করা হবে।’

 

এদিকে, শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে উপজেলার সর্বত্র এখন চলছে উৎসবের আমেজ। ঘরে বাইরে পূজাকে ঘিরে চলছে ব্যস্ততা। যদিও এখন পর্যন্ত বিপনী বিতানগুলোতে পূজার কেনাকাটা তেমন একটা শুরু হয়নি।

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২৩২ পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্দিরের অনুকূলে চাল বরাদ্দের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে মন্ডপের তালিকা পাঠানো হয়েছে।

 

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত ঠাকুর জানান, এ বছর উপজেলার ২৩২টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে। কাশিয়ানী সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির একটি উপজেলা। এখানে বড় ধরণের কোন ঘটনার সম্ভাবনা নেই। তবে প্রতিটি পূজামন্ডপে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদী।

 

কাশিয়ানী থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম জানান, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ও যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রতিটি পূজামন্ডপে পুলিশের পাশাপাশি মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা নিয়োজিত থাকবে।

 

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালমারীতে দেউলিয়া মিলটির পাশেই নতুন জুটমিল প্রতিষ্ঠিত করেছেন পরিচালনাকারীরা

error: Content is protected !!

কাশিয়ানীর ২৩২ মন্ডপে চলছে দুর্গোৎবের প্রস্তুতি

আপডেট টাইম : ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
লিয়াকত হোসেন লিংকন, কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :

শরতের কাঁশফুল, ঢাকের বাদ্য আর প্রতিমা তৈরিতে কারিগরদের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। আগামী ২০ অক্টোবর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ২৪ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

 

এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ২৩২টি মন্ডপে চলছে প্রস্তুতি। দিনরাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।

 

এ বছর ঘটকে চরে দেবী দূর্গা মর্ত্য লোকে পদার্পন করবেন। আবার ঘটকেই কৈলাশে ফিরবেন।

 

অধিকাংশ পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর মূল কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন শুধু চলছে সাজ-সজ্জায় ও রংয়ের কাজ। সীমিত পরিসরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পূজামন্ডপগুলো।

 

প্রতিমা নির্মাণশিল্পী প্রভাষ পাল বলেন, ‘খড়, ছন ও কাঁদামাটি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিমা। এখন শুধু প্রতিমা পরিপূর্ণ রূপ দিতে রং তুলির শেষ আচড় দেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করা হবে।’

 

এদিকে, শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে উপজেলার সর্বত্র এখন চলছে উৎসবের আমেজ। ঘরে বাইরে পূজাকে ঘিরে চলছে ব্যস্ততা। যদিও এখন পর্যন্ত বিপনী বিতানগুলোতে পূজার কেনাকাটা তেমন একটা শুরু হয়নি।

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২৩২ পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্দিরের অনুকূলে চাল বরাদ্দের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে মন্ডপের তালিকা পাঠানো হয়েছে।

 

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত ঠাকুর জানান, এ বছর উপজেলার ২৩২টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে। কাশিয়ানী সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির একটি উপজেলা। এখানে বড় ধরণের কোন ঘটনার সম্ভাবনা নেই। তবে প্রতিটি পূজামন্ডপে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদী।

 

কাশিয়ানী থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম জানান, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ও যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রতিটি পূজামন্ডপে পুলিশের পাশাপাশি মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা নিয়োজিত থাকবে।

 

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’


প্রিন্ট