রাজশাহী মহানগরীতে ভারী বর্ষণের ফলে নিম্নঅঞ্চল তলিয়ে গেছে। গত বুধবার বিকেল চারটা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহীতে রেকর্ড ২৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে রাজশাহী মহানগরীর রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির ফলে নগরীর উঁচু-নিচু সব এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছে বাসা বাড়িতেও। এতে যানবাহনের পরিবর্তে লোকজনদের নৌকা ব্যবহার করতে হচ্ছে। রাজশাহী মহানগরীর উপশহর, উপশহর এর উপকন্ঠ, নওদাপাড়া, সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, লক্ষীপুর, ভদ্রা ,বর্ণালী,ভাটাপাড়া, বিনোদপুর থেকে কোট পর্যন্ত এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এর ফলে মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ২৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরো কয়েকদিন চলবে।
এছাড়াও রাস্তার ধারের দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়াই ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে পারছেন না। রাত থেকেই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়া নির্ঘুম রাত পার করেছেন কয়েকটি এলাকার মানুষ। হেতেনকা এলাকার লোকজন যানবাহনের পরিবর্তে নৌকা ব্যবহার করছেন। নৌকায় তুলে রাখা হয়েছে, বাসা বাড়ির মালপত্র বাড়ির লোকজন ও নৌকায় সময় পার করছেন। রান্নার কোন ব্যবস্থা না থাকায় অনেক পরিবারেই সকাল দুপুরের খাবার জুটেনি। এমনকি রান্নার ও কোন ব্যবস্থা করতে পারেনি। বাইরে থেকে নৌকা যোগে খাওয়া নিয়ে এসে খাচ্ছেন অনেকেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজশাহী মহানগরীতে ৯০ ভাগ পুকুর ভরাট করে ফেলায় বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য যে সমস্ত নর্দমা তৈরি করা হয়েছে তা অপরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। ফলে ওই এসমস্ত ব্যয়বহুল ড্রেন প্রকল্প নগরবাসীর কোন কাজে আসছে না। সাম্প্রতিক সময়ে দুটি ভারী বর্ষণে তা প্রমাণ হয়েছে। তারা আরো বলছেন জলাবদ্ধতার হাত থেকে রাজশাহী মহানগরবাসীকে রক্ষা করার জন্য এখনই বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যে কয়টি পুকুর এখনো আছে তা যেন আর ভরাট করা না হয় সেদিকে সিটি কর্পোরেশনকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
প্রিন্ট