ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মুকসুদপুরে গুনহর স্কুলের নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরে গুনহর স্কুলের নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগন।
মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের গুনহার সাদেক মল্লিক স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে নিয়োগের বিরুদ্ধে, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির তিন সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ কবির হোসেন এবং মোঃ মহাসিন সেখ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আওলাদ আলী মল্লিক তার যোগসাজশে প্রধান শিক্ষক মনোবৃন্দ ব্যানার্জি আবেদনকৃত প্রার্থীদের নিকট হতে ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিল করার জন্য মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারী, দপ্তরী, আয়া পোস্টে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পায়তারা করিতেছে। সহকারী শিক্ষক পদে শুয়াশুর গ্রামের মিলন বিশ্বাস,  অফিস সহকারী পদে গুনহার গ্রামের সাইফুল মল্লিক, দপ্তরী পদে গুনহার গ্রামের সাজ্জাদ,  আয়া পদে শুয়াশুর গ্রামের সুলেখা বালার নিকট থেকে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের টাকা দিতে স্বীকার করায় তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক মনোবৃন্দ ব্যনার্জি ম্যানেজিং কমিটির সভায় সুপরিকল্পিত ভাবে রেজুলেশন ফাঁকা খাতায় অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য স্কুল ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে থাকেন।
প্রধান শিক্ষক মনোবৃন্দ মুঠোফোনে জানান,  অভিযোগ হয়েছে জানি তবে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিন সদস্য মিলে কেন অভিযোগ করছে বুঝতে পারছি না।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আওলাদ আলী মল্লিককে তার মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদত মোল্যা জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার সাহা বলেন,  অভিযোগ পাওয়ার পরে নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

মুকসুদপুরে গুনহর স্কুলের নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির

আপডেট টাইম : ০৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাদশাহ মিয়া, মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরে গুনহর স্কুলের নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগন।
মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের গুনহার সাদেক মল্লিক স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে নিয়োগের বিরুদ্ধে, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির তিন সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ কবির হোসেন এবং মোঃ মহাসিন সেখ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আওলাদ আলী মল্লিক তার যোগসাজশে প্রধান শিক্ষক মনোবৃন্দ ব্যানার্জি আবেদনকৃত প্রার্থীদের নিকট হতে ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিল করার জন্য মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারী, দপ্তরী, আয়া পোস্টে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পায়তারা করিতেছে। সহকারী শিক্ষক পদে শুয়াশুর গ্রামের মিলন বিশ্বাস,  অফিস সহকারী পদে গুনহার গ্রামের সাইফুল মল্লিক, দপ্তরী পদে গুনহার গ্রামের সাজ্জাদ,  আয়া পদে শুয়াশুর গ্রামের সুলেখা বালার নিকট থেকে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের টাকা দিতে স্বীকার করায় তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক মনোবৃন্দ ব্যনার্জি ম্যানেজিং কমিটির সভায় সুপরিকল্পিত ভাবে রেজুলেশন ফাঁকা খাতায় অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য স্কুল ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে থাকেন।
প্রধান শিক্ষক মনোবৃন্দ মুঠোফোনে জানান,  অভিযোগ হয়েছে জানি তবে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিন সদস্য মিলে কেন অভিযোগ করছে বুঝতে পারছি না।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আওলাদ আলী মল্লিককে তার মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদত মোল্যা জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার সাহা বলেন,  অভিযোগ পাওয়ার পরে নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্রিন্ট