ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঈশ্বরদীতে তাপদাহে লিচুর ফলন বিপর্যয়, বেড়েছে দাম Logo স্কুল ছাত্র অন্তর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আজিজুল গ্রেফতার Logo যাত্রীর গায়ের পোশাক পুড়িয়ে মিলল সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ Logo কালুখালীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সম্পন্ন Logo ঈশ্বরদীতে জব্দকৃত খিচুড়ি এতিমখানায় বিতরণ, জরিমানা ১০ হাজার টাকা Logo ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo হাতিয়ার দিঘীতে মিললো এক মণ ওজনের কোরাল মাছ, ৪০ হাজারে বিক্রি ! Logo পদ্মা নদী থেকে ১৯ ঘণ্টা পর কিশোরের লাশ উদ্ধার Logo প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ‌ছাত্রলীগের কর্মসূচি পালিত Logo ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‌ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আগাম তফসিল, ভোট জানুয়ারিতে

তফসিল ঘোষণা থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত যৌক্তিক সময় রাখার আলোচনা চলছে : ইসি মো. আহসান হাবিব খান

- জাতীয় সংসদ ভবন।

এবারে সংসদ নির্বাচনের আগাম তফসিল দেওয়ার চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে ভোট গ্রহণের তারিখ পর্যন্ত ৬০-৭০ দিন হাতে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং রিটার্নিং অফিসার থেকে সকল পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য এবারে বেশি সময় দেওয়া হবে।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন নভেম্বরের ১/২ তারিখের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে চাইছে। এ ক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণার পরে ভোট গ্রহণের জন্য ৬০-৭০ দিনের বেশি রাখার চিন্তা করছে। বেশিসংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে ‘বড়দিনের’ কাছাকাছি সময়ে ভোটের তারিখ না দেওয়ার চিন্তা চলছে। এজন্য জানুয়ারিতেই ভোট গ্রহণের তারিখ রাখার পরিকল্পনা রাখা হচ্ছে। প্রথা অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখের আগে ৪০-৪৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণা হয়। এ ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, প্রত্যাহারের সময় ও প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারের জন্য সময় রাখা হয়। প্রচারের জন্য সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহ, মনোনয়নপত্র জমায় ১০-১৫ দিন, বাছাইয়ে চার দিন, আপিল নিষ্পত্তিতে চার থেকে সাত দিন, প্রত্যাহারের জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়। তবে এবারে সব দলের অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনী কাজ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য কমিশন বেশি সময় দিতে চাইছে।

 

সংসদ নির্বাচনের আগাম তফসিল দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচন কমিশন এবারে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত এবং সহজে বাস্তবায়নযোগ্য সময় দেওয়ার বিষয়টি আলোচনা করছে। এ ক্ষেত্রে সচরাচর যে সময় দেওয়া হতো তা থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তাও আলোচনায় আছে। বিশেষ করে রিটার্নিং অফিসারসহ অন্যান্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সব কর্মকা /প্রশিক্ষণ এবং প্রার্থীদের আপিল/শুনানিতে তাড়াহুড়া না করে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য ধাপে ধাপে যুক্তিযুক্ত/বাস্তবসম্মত সময় দেওয়া এবং বাস্তবতার নিরিখে কার্য সুসম্পন্ন করতে যত সময় লাগবে তা নির্ধারণপূর্বক নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে আলোচনা করেই তফসিল ঘোষণার দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। এই নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, যথাসময়ে কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে এবং ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশা করা যায়। আমরা ঐকান্তিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। আশা করছি সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

 

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত হলেও নির্বাচনী কার্যক্রমে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে পেশিশক্তির নিয়ন্ত্রণ ও প্রার্থীদের মনোয়নপত্র দাখিলে বাধাদান ঠেকাতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে জামানতের টাকাও পরিশোধের সুযোগও থাকবে। অন্যদিকে ভোট কেন্দ্রের নাম ও ভোটার নম্বর খুঁজে পাওয়ার ভোগান্তি কমাতে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন। এই অ্যাপে ভোটারের তথ্যের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের জন্য রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ডিসি, এসপি, ওসিসহ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের পরিচয়, ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে।

 

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, প্রথম সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগে ৬০ দিন, দ্বিতীয়ে ৫৪ দিন, তৃতীয়ে ৪৭ দিন, চতুর্থে ৬৯ দিন, পঞ্চমে ৭৮ দিন, ষষ্ঠে ৪৭ দিন, সপ্তমে ৪৭ দিন, অষ্টমে ৪২ দিন, নবমে ৪৭ দিন, দশমে ৪২ দিন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪৬ সময় হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা হয়েছিল। বাংলাদেশে প্রথম থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যথাক্রমে- ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ, ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ সালের ৭ মে, ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ, ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সবশেষ নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর ও ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ঈশ্বরদীতে তাপদাহে লিচুর ফলন বিপর্যয়, বেড়েছে দাম

error: Content is protected !!

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আগাম তফসিল, ভোট জানুয়ারিতে

আপডেট টাইম : ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এবারে সংসদ নির্বাচনের আগাম তফসিল দেওয়ার চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে ভোট গ্রহণের তারিখ পর্যন্ত ৬০-৭০ দিন হাতে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং রিটার্নিং অফিসার থেকে সকল পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য এবারে বেশি সময় দেওয়া হবে।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন নভেম্বরের ১/২ তারিখের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে চাইছে। এ ক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণার পরে ভোট গ্রহণের জন্য ৬০-৭০ দিনের বেশি রাখার চিন্তা করছে। বেশিসংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে ‘বড়দিনের’ কাছাকাছি সময়ে ভোটের তারিখ না দেওয়ার চিন্তা চলছে। এজন্য জানুয়ারিতেই ভোট গ্রহণের তারিখ রাখার পরিকল্পনা রাখা হচ্ছে। প্রথা অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখের আগে ৪০-৪৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণা হয়। এ ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, প্রত্যাহারের সময় ও প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারের জন্য সময় রাখা হয়। প্রচারের জন্য সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহ, মনোনয়নপত্র জমায় ১০-১৫ দিন, বাছাইয়ে চার দিন, আপিল নিষ্পত্তিতে চার থেকে সাত দিন, প্রত্যাহারের জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়। তবে এবারে সব দলের অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনী কাজ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য কমিশন বেশি সময় দিতে চাইছে।

 

সংসদ নির্বাচনের আগাম তফসিল দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচন কমিশন এবারে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত এবং সহজে বাস্তবায়নযোগ্য সময় দেওয়ার বিষয়টি আলোচনা করছে। এ ক্ষেত্রে সচরাচর যে সময় দেওয়া হতো তা থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তাও আলোচনায় আছে। বিশেষ করে রিটার্নিং অফিসারসহ অন্যান্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সব কর্মকা /প্রশিক্ষণ এবং প্রার্থীদের আপিল/শুনানিতে তাড়াহুড়া না করে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য ধাপে ধাপে যুক্তিযুক্ত/বাস্তবসম্মত সময় দেওয়া এবং বাস্তবতার নিরিখে কার্য সুসম্পন্ন করতে যত সময় লাগবে তা নির্ধারণপূর্বক নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে আলোচনা করেই তফসিল ঘোষণার দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। এই নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, যথাসময়ে কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে এবং ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশা করা যায়। আমরা ঐকান্তিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। আশা করছি সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

 

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত হলেও নির্বাচনী কার্যক্রমে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে পেশিশক্তির নিয়ন্ত্রণ ও প্রার্থীদের মনোয়নপত্র দাখিলে বাধাদান ঠেকাতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে জামানতের টাকাও পরিশোধের সুযোগও থাকবে। অন্যদিকে ভোট কেন্দ্রের নাম ও ভোটার নম্বর খুঁজে পাওয়ার ভোগান্তি কমাতে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন। এই অ্যাপে ভোটারের তথ্যের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের জন্য রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ডিসি, এসপি, ওসিসহ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের পরিচয়, ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে।

 

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, প্রথম সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগে ৬০ দিন, দ্বিতীয়ে ৫৪ দিন, তৃতীয়ে ৪৭ দিন, চতুর্থে ৬৯ দিন, পঞ্চমে ৭৮ দিন, ষষ্ঠে ৪৭ দিন, সপ্তমে ৪৭ দিন, অষ্টমে ৪২ দিন, নবমে ৪৭ দিন, দশমে ৪২ দিন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪৬ সময় হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা হয়েছিল। বাংলাদেশে প্রথম থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যথাক্রমে- ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ, ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ সালের ৭ মে, ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ, ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সবশেষ নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর ও ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর।