সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ তথা ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর বিএনপি জামাত জোট সরকারের ন্যাক্কারজনক গ্রেনেড হামলার ঘটনায় সকল শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খানের সঞ্চালনায় পরিচালিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম এবং প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপ স্থায়ী প্রতিনিধি, সার্জে দ্য এফেয়ার্স ও বাংলাদেশ দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সঞ্চিতা হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে ছিলেন সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ বেপারী।
শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সংগঠনের নেতাকর্মী ও সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন শহর থেকে আগত উপস্থিত সকল প্রবাসিগণ। কোরআন, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা সভা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাসুম খান দুলাল। আলোচনায় অংশগ্রহন করেন উপদেষ্টা কাজী আসাদুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধ বিশেষজ্ঞ ব্লগার ও সাংবাদিক অমি রহমান পিয়াল, সহ-সভাপতি মোঃ আনিস হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌরীচরণ সসীম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক সমীরণ বড়ুয়া জিশু, আশোক কুমার সরকার রবি, আহমেদ মুফাচ্ছের শিহাব প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপ স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সার্জে দ্য এফেয়ার্স সঞ্চিতা হক বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শ ধারণ করেই বতর্মান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করতে পেরেছে। ১৫ আগষ্টকে বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন যে ইনডেমনিটি আইন বাতিলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা করে এই কলঙ্ক কিছুটা হলেও মোচন করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন যে এখনো বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকা খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এবং সংশ্লিষ্ট মিশনগুলো নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মাথাপিছু আয়, জিডিপি, রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স, বাজেট, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা এবং বিদ্যুতায়ন হার, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল সহ অবকাঠামো উন্নয়ন সহ দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতির কিছু সূচক তুলে ধরেন উপ স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধুর ন্যায়, উন্নয়ন এবং সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যপূরণে সামাজিক সুরক্ষা, সর্বজনীন পেনশন স্কীম, এবং প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের মূল উৎপাটন করে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের দৃঢ় প্রত্যয়ের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। সমাপনী বক্তব্যে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার বাংলাদেশের উন্নয়নের নানাদিক তুলে ধরে দেশপ্রেমিক প্রবাসীদের আহবান জানান সরকারের হাতকে আরো শক্তিশালী করতে। সাধারন সম্পাদক সঞ্চালক শ্যামল খান বলেন বাংলাদেশ উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রায় আসীন তা ধরে রাখতে প্রয়োজন স্থিতিশীল সরকার, আর তার জন্য শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের কোনই বিকল্প নেই। এ সময় তিনি উপস্থিত সকল কূটনীতিক এবং দূর-দূরান্ত থেকে আগত সকল অতিথিগণদের সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ এবং তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসি কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রথম সচিব মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান গৌতম কুমার দে, প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মশিউর রহমান সুমন, গোলাম মোরশেদ, কাজী আবদুর রহিম, বিপুল তালুকদার, মোক্তার মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আকবর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব হাসান সুমন, সুমন চাকমা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আইয়ান জুনায়েদ, যুব ও ক্রিড়া সম্পাদক টিপু সুলতান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক আবু নাঈম, আওয়ামী নেতা হোসাইন মনির ময়না, রশিদ বেপারী, মোঃ মমিন পারভেজ, সুমন সালাম মনোয়ারা, তারেক আল মাহমুদ, সুইজারল্যান্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুর রব, সুইজারল্যান্ড বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খান শরীফ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মধ্যাহ্ন ভোজন দিয়ে আপ্যায়িত করে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ।
প্রিন্ট