নওগাঁর আত্রাইয়ে এবার পাটের ভালো ফলন হয়েছে। পাট চাষে খরচ কম ও দাম বেশি হওয়ায় কষক খুশি। সরেজমিনে জানা গেছে উপজেলার মাঠগুলোতে এবার পাট কাটার ধুম পরেছে। এছাড়া পাট জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো, আঁশ রোদে শুকানো এবং বিক্রি করা নিয়ে ব্যাস্হ সময় পার করছে কৃষকরা। হাট বাজারে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে বাজারে পাটের মান ভেদে প্রতি মন পাট বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৫০০ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চাষিরা বিপাকে পড়েন। উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আদ্বুল মান্নান বলেন দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে হাল,বীজ, সার,সেচও পাট পরিস্কার করা সহ যাবতীয় খরচ হয় বিঘা প্রতি ৬০০০-৭০০০ টাকা এবং পাট উৎপাদন হয় প্রতি বিঘা ৮- ৯ মন।
হাতিয়াপারা গ্রামের পাট চাষি আবেদালি বলেন গত বৃহস্পতিবার আহসান গঞ্জ হাটে আমি ৪ মন পাট বিক্রি করেছি ৮৯০০ টাকায়। হাটে পাটের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।মির্জাপুর গ্রামের পাট চাষি আবু বলেন প্রতি আটি পাট পরিষ্কার করতে ২০ টাকা পাওয়া যায়। দিনে ২৫-৩০ আটি পাট পরিষ্কার করা যায়। এতে একজন শ্রমিক ৫০০/৫৫০ টাকা উপার্জন করতে পারে। একই গ্রামের পাট ব্যবসাহি আদ্বুল রশিদ বলেন নতুন পাট কিনতে শুরু করেছি। বাজারে পাটের ভালো চাহিদা রয়েছে। কারণ দেশের বাহিরে পাট রপ্তানির পাশাপাশি দেশে বেড়েছে পাট কল সংখ্যা।
এছাড়া পাটের তৈরি বিভিন্ন প্রকার সামগ্রী বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। অল্প দিনের মধ্যে হাটে পাট কেনা বেচা পুরো দমে শুরু হবে। তারাটিয়া মাষ্টার মাইন্ড বি,এম কলেজের অধ্যক্ষ ডি,এস জাহিদ বলেন সরকারি ভাবে খাদ্য বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মতো সার কারখানা এবং চিনি কারখানায় পাট জাত পণ্য সরবারাহ করা হলে পাটের দাম আরও বৃদ্ধি পেত। আত্রাই উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তাপস কুমার বলেন উপজেলায় এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে। চাষিরা পাট বিক্রি করে বেশি দাম পাচ্ছেন এতে পাট চাষিরা লাভবান ও হচ্ছেন।
প্রিন্ট