ঢাকা , শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মাগুরার দুইটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী Logo বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থীসহ ৯ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo আমতলীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল Logo নাটোরের লালপুরে ভিক্ষুকদের মাঝে অটো ভ্যান বিতরণ Logo সড়ক দুর্ঘটনায় অলৌকিক ভাবে বেঁচে গেলেন মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রানা Logo কুষ্টিয়ায় রেলসেতুর নিচে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Logo আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচনে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল Logo ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে গ্রেনেড উদ্ধার Logo কুষ্টিয়া জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান শামীম একজন ডায়নামিক টিচার Logo মধুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান মুরাদ, ভাইস চেয়ারম্যান কালু-মিনা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নাইক্ষ্যংছড়ি-তে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটার হিড়িক, দেখার কেউ নেই

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সর্বত্র বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটার ধুম ফেলেছে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিধ্বংসী এক বিশেষ সিন্ডিকেট।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) আনুমানিক দুপুর ০২:৩০ টার দিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এর ফকির পাড়া পাকা রাস্তার ব্রীজের পূর্ব পাশে, ৮নং ওয়ার্ড এর রেজু আমতলী ‘BHB’ ইট ভাটার উত্তর পূর্ব পাশে, এবং রেজু মগপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনসহ আজুখাইয়া মসজিদের উত্তর পশ্চিম পাশে বিশাল পাহাড় কাটার মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে আইন অমান্যকারী পাহাড় খেকো সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী সদস্যরা।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘুমধুমের ইউপি সদস্য আবুল কালাম, বিএসবি ইট ভাটার ম্যানেজার আমান উল্লাহ মৌল্লা, সাবেক ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খালেদ সরোয়ার হারেজ দিনরাত বালু উত্তোলনসহ পাহাড় কাটার মহোৎসবে মেতেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমান উল্লাহ (মৌল্লা), খালেদ সরোয়ার হারেজ, তারা বিগত ৩-৪ বছর ধরে খাল খনন করে বালু উত্তোলন, পাহাড়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, তাই এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করেনা যদি কেউ প্রতিবাদ করে বিভিন্নভাবে তাদেরকে  হয়রানি করা হয়।
এদিকে ইউপি সদস্য আবুল কালামের কাছে বালু উত্তোলনে অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ইট ভাটা জন্য হালকা একটু বালু উত্তোলন করতেছি, তবে বাকিরা ব্যবসা করার জন্য উত্তোলন করতেছে।
বি,এস,বি ইট ভাটার ম্যানেজার আমান উল্লাহ মৌল্লার কাছে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং অপর দিকে KRE ইট ভাটার স্বত্বাধিকারী খালেদ সরোয়ারের কাছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মার কাছে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের মত জঘন্য অপরাধে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের মত অপরাধে সে যত বড় নেতা বা প্রভাবশালী হউক তার বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। পাহাড় খেকোদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

মাগুরার দুইটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী

error: Content is protected !!

নাইক্ষ্যংছড়ি-তে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটার হিড়িক, দেখার কেউ নেই

আপডেট টাইম : ০১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সর্বত্র বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটার ধুম ফেলেছে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিধ্বংসী এক বিশেষ সিন্ডিকেট।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) আনুমানিক দুপুর ০২:৩০ টার দিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এর ফকির পাড়া পাকা রাস্তার ব্রীজের পূর্ব পাশে, ৮নং ওয়ার্ড এর রেজু আমতলী ‘BHB’ ইট ভাটার উত্তর পূর্ব পাশে, এবং রেজু মগপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনসহ আজুখাইয়া মসজিদের উত্তর পশ্চিম পাশে বিশাল পাহাড় কাটার মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে আইন অমান্যকারী পাহাড় খেকো সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী সদস্যরা।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘুমধুমের ইউপি সদস্য আবুল কালাম, বিএসবি ইট ভাটার ম্যানেজার আমান উল্লাহ মৌল্লা, সাবেক ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খালেদ সরোয়ার হারেজ দিনরাত বালু উত্তোলনসহ পাহাড় কাটার মহোৎসবে মেতেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমান উল্লাহ (মৌল্লা), খালেদ সরোয়ার হারেজ, তারা বিগত ৩-৪ বছর ধরে খাল খনন করে বালু উত্তোলন, পাহাড়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, তাই এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করেনা যদি কেউ প্রতিবাদ করে বিভিন্নভাবে তাদেরকে  হয়রানি করা হয়।
এদিকে ইউপি সদস্য আবুল কালামের কাছে বালু উত্তোলনে অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ইট ভাটা জন্য হালকা একটু বালু উত্তোলন করতেছি, তবে বাকিরা ব্যবসা করার জন্য উত্তোলন করতেছে।
বি,এস,বি ইট ভাটার ম্যানেজার আমান উল্লাহ মৌল্লার কাছে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং অপর দিকে KRE ইট ভাটার স্বত্বাধিকারী খালেদ সরোয়ারের কাছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মার কাছে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের মত জঘন্য অপরাধে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের মত অপরাধে সে যত বড় নেতা বা প্রভাবশালী হউক তার বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। পাহাড় খেকোদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।