‘নিজ জেলায় কখনো চুরি করে না। অভিনব কিছু পন্থা অবলম্বন করে এক জেলায় চুরি করে অন্য একটি জেলায় বিক্রি করতো তারা।’
এমন আন্ত:জেলা গরু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সিপিসি-২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি চোরাই গরু জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান এ তথ্য জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার আলগাদিয়া এলাকার চাঁন মোল্লার ছেলে আব্দুর রহিম (৩৪), একই এলাকার হারেস মুন্সীর ছেলে শফিকুল মুন্সী আদিল (২৫), কোতয়ালী থানার বাটিলক্ষীপুর এলাকার মোতালেব মোল্লার ছেলে গােফফার মোল্লা ((২২), রাজবাড়ীর পাংশা থানার ভবানীপুর এলাকার মৃত রফিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আব্দুল রাজ্জাক (৩৮), ফরিদপুরের সালথা থানার রামকান্তপুর এলাকার আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে জামাল হোসেন (২৩), বোয়ালমারি থানার শিরগ্রাম ধোপাপাড়া এলাকার ইয়াসিন মোল্লার ছেলে বাগানে মোল্লা (২০), নাগদি এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে মফিজুল ইসলাম (২২), মধুখালী থানার ডুমাইন এলাকার হারুন বিশ্বাসের ছেলে অনিক বিশ্বাস, বোয়ালমারীর সাটইর বাজার এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে মিল্টন হোসেন (২৪), নগরকান্দা থানার সন্তোষী এলাকার ইউনুছ মিয়ার ছেলে নাহিদ মিয়া (২৬), বোয়ালমারী থানার খামারপাড়া এলাকার আব্দুল বাকের শেখের ছেলে আব্দুল্লাহ শেখ (২৫), রাজবাড়ীর পাংশা থানার ভবানীপুর এলাকার রফিজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মুন্না হোসেন (১৯) এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার কোলদিয়ার ভুরকাপাড়া এলাকার মুল্লুক সরদারের ছেলে নুতফার আলি (৪৯)।
তৌহিদুল মবিন খান জানান, তাদের বাড়ি ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলায়। কিন্তু তারা ওই এলাকায় চুরি করে না। তারা মাদারীপুর, নড়াইল, মাগুড়া, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াসহ আশপাশের জেলায় গরু চুরি করে। সেইসব গরু আবার অন্য আরেক জেলায় স্থানান্তর করে বিক্রি করতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার(১৮ আগস্ট) পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি ভাড়া করা বাসা থেকে মুলহোতা আব্দুর রহিমসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৪টি চোরাই গরু জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, এরা সবাই সিঁধেল চোর। চুরির কাজে তারা পেশাগতভাবে দক্ষ। চুরি করতে তারা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। এই চোর চক্র দেশের বিভিন্ন স্থানের চোর চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এমন চোর চক্র পাবনাতেও রয়েছে বলে সন্ধান মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সিপিসি-২ পাবনা ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার কিশোর রায়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট