তালা ভেঙে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও ফরিদপুর সদর আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সহকারি একান্ত সচিব এএইচএম ফোয়াদের ব্যক্তিগত কার্যালয় দল নিলো যুবলীগের একাংশ।
সোমবার দুপুরের পরে ফরিদপুর শহরের থানা রোড় মোড়ে পৌরসভার মালিকাধিন মার্কেটের তৃতীয় তলায় তিনটি কক্ষ তালা ভেঙে দখলে নেওয়া হয় । এ সময় জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদি হাসান তালুকদার শামিম, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক জেলার সাধারন সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইমসহ যুবলীগের বেশ কিছু নেতা কর্মী। সেখানে তারা অফিসে থাকা ফরিদপুর সদর আসনের এমপি মোশাররফ হোসেনের বাধায় করা ছবি সরিয়ে ফেলে।
ফরিদপুর যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ফোয়াদের পরিবার সূত্রে জানাযায়, গত ছয় বছর যাবত পৌরসভার মালিকাধিন থানা রোড়ে ওই মার্কেটের তৃতীয় তলায় লিজের মাধ্যমে বরাদ্দ নেওয়া হয়। সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতিবছর ওই দোকানের ভাড়া নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে। আমাদের মতো আরো প্রায় দেড়শতাধিক ব্যক্তি ওই মার্কেটের দোকান লিজ নিয়ে বরাদ্দ নিয়েছেন। সকলেই স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে ব্যবসা করছেন।
জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও ফরিদপুর সদর আসনের এমপি (সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর এপিএস) এ এইচ এম ফোয়াদের ভাগনে মামুন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, আমার মামা তার জীবনে অধিকাংশ সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য উৎসর্গ করেছে। আজ তার ব্যক্তিগত অফিস অন্যায় ভাবে তালা ভেঙ্গে যুবলীগ নেতা শামিম, ফাহিমসহ তাদের অনুসারিরা দখল নিয়েছে। এতটুকু দেখার বাকি ছিলো। দল ক্ষমতায় অথচ দলের একজন নিবেদিত কর্মীর সঙ্গে এমন আচারন কতটুকু গ্রহযোগ্য।
ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মেহেদি হাসান তালুকদার শামিম বলেন, জেলা যুবলীগের বসার জায়গা ছিলো না, ওই অফিসটি যুবলীগের সাবেক নেতা ব্যবহার করেতো।তাই আমরা সকলেই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে অফিসটি তালু খুলে বসার ব্যবস্থা নিয়েছি। বিষয়টি আমাদের নেতা নিক্সন চৌধুরী জানেন (ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি ও যুবলীগের প্রেডিসিয়াম সদস্য)।
এ প্রসঙ্গে ফদিরপুর-৪ আসনের এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামীযুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন, আমি কাউকে অন্যের ব্যক্তিগত অফিস ভাঙতে বলেনি বা দখল করতে বলিনি । বলেছি যুবলীগের অফিস থাকলে সেখানে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করতে। দল যাতে সুসংগঠিত হয় ।
এ বিষেয় ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। তবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দুই প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের জন্য অফিস উদ্বোধন করেছেন। কেনো আমরা অন্যের ব্যক্তিগত অফিসে বসতে যাবো। এটা সঠিক কাজ হয়নি।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল এ প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। তবে এমন ঘটনা যদি হয়, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট