ঢাকা , বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়ায় ছাত্র হত্যা: ৫ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর Logo দুই ডিমের আড়তে জরিমানা ১.২৫ লক্ষ টাকা Logo ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক: জনগণের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার Logo চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo নাটোরে বড়াইগ্রাম উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ব্যবসা গোটাচ্ছে দেড় শতাধিক কোম্পানি Logo বরেন্দ্রের প্রাণপুরুষ ড. এম আসাদুজ্জামান Logo কারাগারে সাবেক এমপি লতিফের ওপর হামলা Logo গোপালগঞ্জে অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চলছে উলপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা Logo খোকসায় পূজা মন্ডবে দায়িত্বে নিয়োগকৃত আনসারদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন ভিডিপি কর্মকর্তা।
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সংগীতশিল্পী মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

টাকা নিয়েও অনুষ্ঠান করতে না যাওয়ায় বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় বাংলাদেশি পপ সম্রাজ্ঞী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা করা হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত ১৫ বছর আগের এই মামলায় এই নিয়ে চতুর্থবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল।

জানা গেছে, প্রায় চৌদ্দ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন মমতাজ। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য সেখানকার শক্তিশঙ্কর বাগচী নামে এক ইভেন্ট অর্গানাইজারের সঙ্গে লিখিত চুক্তি হয় এই সংগীতশিল্পীর। সেই মতো ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান শিল্পী হিসেবে মমতাজকে প্রায় ১৪ লাখ রুপির বিনিময়ে বায়না করেছিলেন উদ্যোক্তারা।

তবে অভিযোগ, টাকা নেয়ার পরও অনুষ্ঠানে হাজির হননি গায়িকা। যথারীতি অনুষ্ঠানস্থলে ভাঙচুর হয়। চরম হেনস্তার মুখে পড়তে হয় অনুষ্ঠানের আয়োজক শক্তিশঙ্কর বাগচীকে। পরে টাকা ফেরত দিতেও অস্বীকার করেন মমতাজ। এরপর চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হন শক্তি। কিন্তু থানা অভিযোগ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

এরপর বাধ্য হয়ে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন শক্তি। মমতাজের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক ধারায় মামলা করেন। সেই সূত্রে ২০০৯ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। পরে সমন কার্যকর না করায় তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এরই মধ্যে নিম্ন আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে আসেন গায়িকা।

পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শক্তিশঙ্কর বাগচী। ২০১০ সালে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মামলায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একে একে তিনবার আগাম জামিন পেয়ে যান গায়িকা ।

এরপর গত ৯ আগস্ট ফের আদালতে হাজিরা এড়িয়ে যান গায়িকা। বাংলাদেশ হাইকমিশন মারফত জানানো হয়, এই মুহূর্তে একটি কনসার্টের কারণে কানাডায় অবস্থান করছেন গায়িকা। তাই আদালতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এমন অবস্থায় আগাম নোটিশ থাকা সত্ত্বেও আদালতে গায়িকা হাজির না হওয়ায় ফের তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

শক্তিশঙ্কর বাগচীর অভিযোগ, এর মধ্যে বিভিন্ন সময় কলকাতা গেলেও তার ওই অনুষ্ঠান আর করে দেননি মমতাজ। মামলায় সহযোগিতা করবেন বলেও কোনো সহযোগিতা করছেন না এই গায়িকা এমনটাও দাবি করেন তিনি।

তার কথায়, ‘আমি নিশ্চিত মমতাজ বেগম এখন কানাডায় যাননি। আদালতকে এড়িয়ে যেতে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।’

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

কুষ্টিয়ায় ছাত্র হত্যা: ৫ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

error: Content is protected !!

সংগীতশিল্পী মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট টাইম : ১২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

টাকা নিয়েও অনুষ্ঠান করতে না যাওয়ায় বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় বাংলাদেশি পপ সম্রাজ্ঞী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা করা হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত ১৫ বছর আগের এই মামলায় এই নিয়ে চতুর্থবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল।

জানা গেছে, প্রায় চৌদ্দ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন মমতাজ। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য সেখানকার শক্তিশঙ্কর বাগচী নামে এক ইভেন্ট অর্গানাইজারের সঙ্গে লিখিত চুক্তি হয় এই সংগীতশিল্পীর। সেই মতো ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান শিল্পী হিসেবে মমতাজকে প্রায় ১৪ লাখ রুপির বিনিময়ে বায়না করেছিলেন উদ্যোক্তারা।

তবে অভিযোগ, টাকা নেয়ার পরও অনুষ্ঠানে হাজির হননি গায়িকা। যথারীতি অনুষ্ঠানস্থলে ভাঙচুর হয়। চরম হেনস্তার মুখে পড়তে হয় অনুষ্ঠানের আয়োজক শক্তিশঙ্কর বাগচীকে। পরে টাকা ফেরত দিতেও অস্বীকার করেন মমতাজ। এরপর চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হন শক্তি। কিন্তু থানা অভিযোগ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

এরপর বাধ্য হয়ে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন শক্তি। মমতাজের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক ধারায় মামলা করেন। সেই সূত্রে ২০০৯ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। পরে সমন কার্যকর না করায় তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এরই মধ্যে নিম্ন আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে আসেন গায়িকা।

পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শক্তিশঙ্কর বাগচী। ২০১০ সালে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মামলায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একে একে তিনবার আগাম জামিন পেয়ে যান গায়িকা ।

এরপর গত ৯ আগস্ট ফের আদালতে হাজিরা এড়িয়ে যান গায়িকা। বাংলাদেশ হাইকমিশন মারফত জানানো হয়, এই মুহূর্তে একটি কনসার্টের কারণে কানাডায় অবস্থান করছেন গায়িকা। তাই আদালতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এমন অবস্থায় আগাম নোটিশ থাকা সত্ত্বেও আদালতে গায়িকা হাজির না হওয়ায় ফের তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

শক্তিশঙ্কর বাগচীর অভিযোগ, এর মধ্যে বিভিন্ন সময় কলকাতা গেলেও তার ওই অনুষ্ঠান আর করে দেননি মমতাজ। মামলায় সহযোগিতা করবেন বলেও কোনো সহযোগিতা করছেন না এই গায়িকা এমনটাও দাবি করেন তিনি।

তার কথায়, ‘আমি নিশ্চিত মমতাজ বেগম এখন কানাডায় যাননি। আদালতকে এড়িয়ে যেতে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।’