বহুল আলোচিত নরসিংদী পৌরসভার, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মানিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি, নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুলের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন, নিহত পরিবারের স্বজন ও জেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট), সকালে নরসিংদী সদর উপজেলা মোড় ও আদালত চত্বরে, এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান, মানিক হত্যা মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। এমন সংবাদে নিহতের স্বজন ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা, সকালে উপজেলা মোড়ে জড়ো হতে থাকেন।
এসময় বিক্ষোভকারী ঝাড়ু হাতে নিয়ে মিছিলসহ আদালতের দিকে যেতে চাইলে জেলা প্রশাসনের বাসভবনের সামনে মিছিলকারীদের ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। সেখানেই বিক্ষোভ কারিরা ও মানিক হত্যার ফাঁসি চেয়ে মিছিল করতে থাকেন। তখন শহরের প্রধান সড়ক ডিসি রোডের এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সেখানেই সাবেক মেয়র ও জেলা আ’লীগের যুগ্ম, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুলের কুশপুত্তালিকা দাহ করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ১ জানুয়ারী নরসিংদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মানিক মিয়াকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে আসামীরা। পরে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান প্রয়াত লোকমান হোসেন, তার ভাই সাবেক মেয়র ও বর্তমানে জেলা আ’লীগের যুগ্ম, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানসহ ১০জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন, নিহতের ভাই আমির হোসেন আমু।
বাদী পক্ষের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আসামী পক্ষ আদালতে আসতে বাধা স্বাক্ষীদের ও নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলো।
এসময় নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, আমিরুল হক ভূঁইয়া, শ্রমিক লীগের আহব্বায়ক রিপন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান আজিম, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের, সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এস এম কাইয়ুম, নরসিংদী সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি মিয়া মোঃ মঞ্জুর, জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক কায়কোবাদ হোসেন কানু, নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জোবায়ের আহমেদ জুয়েল, নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন, সাধারণ সম্পাদক শাহজালালসহ, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতশত নেতৃবৃন্দর, নিয়তের পরিবারের লোকজন, সাধারণ জনগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কামরুজ্জামান কামরুল আদালতে উপস্থিত না হয়ে তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করেছেন বলে জানা যায়।
প্রিন্ট