ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছেঃ -প্রধানমন্ত্রী

-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

 

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে আজ মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন।

 

জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গমাতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী।’

 

‘সংগ্রাম-স্বাধীনতা প্রেরণায় বঙ্গমাতা’প্রতিপাদ্যের ওপর ভিত্তি করে এবার বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে, যা নতুন প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসের সঠিক প্রেক্ষাপট বুঝতে সহায়ক হবে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন সহজ-সরল, নিরহংকার। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। একজন সাধারণ বাঙালি নারীর মতো স্বামী-সংসার, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।’

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা রাজনৈতিক কারণে প্রায়ই কারাগারে বন্দি থাকতেন। সেই দুঃসহ সময়ে তিনি হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে একদিকে স্বামীর কারামুক্তিসহ আওয়ামী লীগ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। অন্যদিকে সংসার, সন্তানদের লালনপালন, শিক্ষাদান, বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস জুগিয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।

 

ছয় দফা ও ১১ দফার আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গৃহবন্দি থেকে এবং পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছেঃ -প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

 

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে আজ মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন।

 

জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গমাতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী।’

 

‘সংগ্রাম-স্বাধীনতা প্রেরণায় বঙ্গমাতা’প্রতিপাদ্যের ওপর ভিত্তি করে এবার বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে, যা নতুন প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসের সঠিক প্রেক্ষাপট বুঝতে সহায়ক হবে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন সহজ-সরল, নিরহংকার। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। একজন সাধারণ বাঙালি নারীর মতো স্বামী-সংসার, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।’

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা রাজনৈতিক কারণে প্রায়ই কারাগারে বন্দি থাকতেন। সেই দুঃসহ সময়ে তিনি হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে একদিকে স্বামীর কারামুক্তিসহ আওয়ামী লীগ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। অন্যদিকে সংসার, সন্তানদের লালনপালন, শিক্ষাদান, বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস জুগিয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।

 

ছয় দফা ও ১১ দফার আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গৃহবন্দি থেকে এবং পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।


প্রিন্ট