ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জনতাসহ আহত শতাধিক. ইউএনও এসিল্যান্ডের বাসভবন ও থানা ঘেরাও, গাড়ি ও ভবনে আগুন

সালথায় লকডাউন কে কেন্দ্র করে পুলিশ জনতার সংঘর্ষ, নিহত ১

রিদপুরের সালথায় লকডাউন কে কেন্দ্র করে পুলিশ জনতার সংঘর্ষে, একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, পুলিশ জনতাসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পরে জেলার বিভিন্ন স্থানের আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

জানা গেছে, সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউন পর্যবেক্ষন করতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খাঁন হীরামনি সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে যান ।


সেখানে তার সাথে থাকা আনছার ও সহকারী এক অফিসার ছিলো তাদের মধ্যে কেউ একজন, বাজারে চা খেতে আসা সাধারন এক পাবলিককে লাঠিপেটা করে।

এতে সে গুরুত্বর আহত হয়, পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী নটখোলা গ্রামের মোসলেম মোল্যার ছেলে জাকির হোসেন।

এদিকে সরকারী কর্মচারীর লাঠির আঘাতে জাকিরের আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপস্থিত জনতা ক্ষুব্ধ হয়। কিছুক্ষনের মধ্যে কয়েক গ্রামবাসি সেখানে হাজির হয়।

এরপর সেখানে সালথা থানার এস আই মিজানুর রহমান ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হলে ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের উপর হামলা করে। এতে এসআই মিজানসহ দুই কনস্টবল আহত হয়।

পরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়, এদিকে মানুষ একে অপরের মধ্যে গুজব ছড়ায় যে পুলিশের গুলিতে কয়েকজন মারা গেছে, চারি দিক থেকে জনতা আসা শুরু করলো ঘটনাস্থলে।

উপজেলা পরিষদ, থানা ঘেরাও করলো সাধারন জনতা, এক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের মেইন গেট ও থানা গেট ভাংচুর করে ভিতরে প্রবেশের সময় পুলিশ জনতার উপর গুলি চালায় গুলি


তে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। বেশ কয়েকজন গুরত্বও আহত হয়। পুলিশ জনতা সহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

নিহত ব্যক্তি উপজেলার রামকান্তুপুর গ্রামের আশরাফ মাওলানার ছেলে হাফেজ জুবায়ের হোসেন (১৮)। বিক্ষুদ্ধ জনতা ইউএনওর বাসভনের ভিতরে ডুকে অগ্নি সংযোগের চেষ্টা করে। এবং ইউএনও এসিল্যান্ডের দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

থানার মেইন গেটে অগ্নি সংযোগ করে, পরে সালথা বাজারের পাশে নতুন উপজেলা ভূমি অফিস অর্থাৎ সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয় সংঘর্ষের সময়।

উপজেলা পরিষদের নিচ তলার কয়েকটি অফিস ভাংচুর ও লুটপাট চালায় জনতা।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ আসিকুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড মহোদয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পৌছালে কিছু না বুজার আগেই পুলিশের উপর হামলা করে জনতা।

হামলায় এস আই মিজানসহ দুই কনস্টেবল আহত হয়। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অনুরোধ করেও বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করা যায়নি।

পরে উপজেলা পরিষদ ও থানা ঘেরাও হলে পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে ।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খাঁন হীরামনি মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার কারনে তাকে পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

জনতাসহ আহত শতাধিক. ইউএনও এসিল্যান্ডের বাসভবন ও থানা ঘেরাও, গাড়ি ও ভবনে আগুন

সালথায় লকডাউন কে কেন্দ্র করে পুলিশ জনতার সংঘর্ষ, নিহত ১

আপডেট টাইম : ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
এফ. এম. আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

রিদপুরের সালথায় লকডাউন কে কেন্দ্র করে পুলিশ জনতার সংঘর্ষে, একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, পুলিশ জনতাসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পরে জেলার বিভিন্ন স্থানের আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

জানা গেছে, সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউন পর্যবেক্ষন করতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খাঁন হীরামনি সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে যান ।


সেখানে তার সাথে থাকা আনছার ও সহকারী এক অফিসার ছিলো তাদের মধ্যে কেউ একজন, বাজারে চা খেতে আসা সাধারন এক পাবলিককে লাঠিপেটা করে।

এতে সে গুরুত্বর আহত হয়, পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী নটখোলা গ্রামের মোসলেম মোল্যার ছেলে জাকির হোসেন।

এদিকে সরকারী কর্মচারীর লাঠির আঘাতে জাকিরের আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপস্থিত জনতা ক্ষুব্ধ হয়। কিছুক্ষনের মধ্যে কয়েক গ্রামবাসি সেখানে হাজির হয়।

এরপর সেখানে সালথা থানার এস আই মিজানুর রহমান ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হলে ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের উপর হামলা করে। এতে এসআই মিজানসহ দুই কনস্টবল আহত হয়।

পরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়, এদিকে মানুষ একে অপরের মধ্যে গুজব ছড়ায় যে পুলিশের গুলিতে কয়েকজন মারা গেছে, চারি দিক থেকে জনতা আসা শুরু করলো ঘটনাস্থলে।

উপজেলা পরিষদ, থানা ঘেরাও করলো সাধারন জনতা, এক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের মেইন গেট ও থানা গেট ভাংচুর করে ভিতরে প্রবেশের সময় পুলিশ জনতার উপর গুলি চালায় গুলি


তে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। বেশ কয়েকজন গুরত্বও আহত হয়। পুলিশ জনতা সহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

নিহত ব্যক্তি উপজেলার রামকান্তুপুর গ্রামের আশরাফ মাওলানার ছেলে হাফেজ জুবায়ের হোসেন (১৮)। বিক্ষুদ্ধ জনতা ইউএনওর বাসভনের ভিতরে ডুকে অগ্নি সংযোগের চেষ্টা করে। এবং ইউএনও এসিল্যান্ডের দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

থানার মেইন গেটে অগ্নি সংযোগ করে, পরে সালথা বাজারের পাশে নতুন উপজেলা ভূমি অফিস অর্থাৎ সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয় সংঘর্ষের সময়।

উপজেলা পরিষদের নিচ তলার কয়েকটি অফিস ভাংচুর ও লুটপাট চালায় জনতা।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ আসিকুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড মহোদয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পৌছালে কিছু না বুজার আগেই পুলিশের উপর হামলা করে জনতা।

হামলায় এস আই মিজানসহ দুই কনস্টেবল আহত হয়। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অনুরোধ করেও বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করা যায়নি।

পরে উপজেলা পরিষদ ও থানা ঘেরাও হলে পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে ।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খাঁন হীরামনি মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার কারনে তাকে পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট