যেসব দেশ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে পালিয়ে থাকতে দেয় তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা বলা লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতির জনকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ শেষে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে দুজন কানাডা ও আমেরিকায় রয়েছে। তারা ওই দেশগুলোর প্রোটেকশন নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা আমাদের কাছে তাজ্জবের মতো লাগছে। বাকি তিনজনের খবর আমরা ঠিক জানি না। এরা আত্মস্বীকৃত খুনি।
তারা যেসব দেশে আছে, ওই সব দেশ মানবাধিকারের কথা বলে, অথচ তারা আত্মস্বীকৃত খুনিকে রেখে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফিরিয়ে আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে আমরা তাদের জানিয়েছি। এতসব করার পরও তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে। আমরা বলেছি, ন্যায় বিচারের জন্য তাদের আমাদের হাতে তুলে দেন। এটা ওই সব দেশের জন্য লজ্জা, আর আমাদের জন্য দুঃখজনক। আমরা আশা করি, তারা বুঝতে পারবে।ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ যারা আইনের শাসনের জন্য সবসময় সোচ্চার, তারা একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। একটা খুনি নয়, আরও একজন আলবদর-রাজাকারকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। এটা আমার কাছে তাজ্জব মনে হয়। একটি আইনি দেশ বেআইনি লোককে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নূর চৌধুরীকে ফেরত আনতে কানাডার সঙ্গে বহু আলোচনা হয়েছে। তারা একটা না একটা বাহানা করে। এখন বড় বাহানা হচ্ছে আমাদের আদালত তাকে ফাঁসির রায় দিয়েছে। তার তো স্কোপও আছে, সে এখানে এসে ক্ষমা চাইতে পারে।
কিন্তু কানাডা বলছে, যেসব দেশে ফাঁসির বিধান আছে সেসব দেশে তারা পাঠায় না। কানাডার নাগরিক না কি অবৈধ অভিবাসী সেটাও তারা ঠিক করে বলে না। আমেরিকায় যে আছে তার ব্যাপারে আমেরিকার সরকারকে অনুরোধ করি। কিন্তু তারা বলছে, এটা কোর্টে আছে, অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস আমাদের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিল কী অনুযায়ী বিচার হয়েছে তার প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন। আমাদের বিচারটা খুব স্বচ্ছ হয়েছে। এবং এটি আইন অনুযায়ী হয়েছে, সেটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে জানিয়েছি। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয় না।
প্রিন্ট