প্রত্যেক শিশুর শৈশব মানে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাটানো সময়। আর এই সময়ে শিশুদের পরাশুনায় মনোযোগি করে তুলতে হলে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশের প্রয়োজন। এমন দৃষ্টান্ত গড়ে তুলেছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ১নং শাহাগোলা ইউনিয়নের ৯৮ নং তারাটিয়া বড় ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
গতানতিক নিয়মের বাইরে আনন্দ মূখর পরিবেশে গল্প আর খেলা ধুলার মধ্যে দিয়ে নেচে গেয়ে বিদ্যালয়ের কমল মতির শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করানো হয়।
এই উদ্যগের ফলে এলাকা জুরে প্রসংশিত হচ্ছে তারাটিয়া বড় ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। সরে জমিনে গিয়ে দেখা য়ায বিদ্যালয়ের মূল ভবনের সামনে দোলনা দিয়ে সাজানো। এমন বর্ণিল রুপ দেখে কমল মতি শিশুদের মূল শ্রেণি কক্ষে প্রবেশের আগ্রহী হয়ে উঠে।
এদিকে শ্রেণী কক্ষের ভিতরে রয়েছে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা রঙ্গিন বর্ণমালা ছড়া,নামতা, গণিতের বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন, বাংলা ও ইংরেজি মাসের নাম বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারকের নাম ছবি, বঙ্গবন্ধুর ছবি,সাত বীরশ্রেষ্ঠের নাম ও ছবি বিভিন্ন ফল ফুল ও পশু পাখির ছবি।
মূল ভবনের সামনে পেছনে রয়েছে মণীষীদের এবং কবি সাহিত্যকদের বাণী ও সচেতনতা মূলক বিভিন্ন কথা। এছাড়া বিভিন্ন খেলার উপকরণ রয়েছে বিদ্যালয় জুড়ে। ছড়া কবিতা ও গল্পের সঙ্গে ছবি দিয়ে সাজানো বিদ্যালয় দেখে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই নতুন কিছু শিখছে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া ছাড়া ও সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া জুতা পায়ে টয়লেটে যাওয়া সহ দিকনির্দেশনা মূলক বিভিন্ন ভিডিও দেখানো হচ্ছে তাদের। এতে শিশুদের আচরণে আসছে পরিবর্তন।
মানুষিক বিকাশের সাথে লেখা পড়ায় তারা সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন লেখা পরার প্রতি মনোযোগ ও আগ্রহ বারাতে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বিভাগ ও সরকারি সহায়তায় বিদ্যালয়ের দেওয়াল সাজানো হয়েছে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার হারুনুর রশিদ জানান প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় আনন্দ ঘন পরিবেশে ও শিশুদের পাঠ দান দিতে প্রথম পর্যায়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি কক্ষ সাজানো হয়েছে। তারাটিয়া বড় ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চমক পদ এই পাঠ দান কৌশল সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
প্রিন্ট