বাঘায় বস্তা পরিবর্তন করে খাদ্য গুদামের সরকারি চাল বাজারজাত করণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহসপতিবার (৬-৭-২০২৩) উপজেলার মনিগ্রাম বাজারে ‘ইমন খাদ্য ভান্ডার’ এ বিভিন্ন কোম্পানির বস্তায় খাদ্য গুদামের চাল প্যাকেটজাত করা হয়।
গোপন তথ্যর ভিত্তিতে সেখানে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা যায়, ‘গুটি স্বর্না চাউল’ এর বস্তাসহ বিভিন্ন কোম্পানির বস্তায় খাদ্য গুদামের সরকারি চাল বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্যাকেটজাত করে ট্যাগ দিয়ে রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে ‘ইমন খাদ্য ভান্ডার’র স্বত্তাধিকারি আব্দুল কুদ্দুস(সোনা) ডিও লেটার দেখিয়ে জানান, রাবেয়া খাতুন হাফেজিয়া মাদ্রাসার সভাপতির নামে বরাদ্দকৃত ১ মেট্রিক টন চাল (৫০ কেজির বস্তা) গত বুধবার কিনেছেন। চালগুলো বাজারে বিক্রির জন্য ২৫ কেজি ওজনের বস্তায় প্যাকেটজাত করছেন। খাদ্য গুদামের চালগুলো হাইব্রিড মোটা চাল বলে জানান। তিনি বলেন,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ দেওয়া চালের ডিও কিনে বাজারে বিক্রি করেন। তার দাবি, বস্তা পরিবর্তন করলেও মোটা চালের দামেই বাজারে বিক্রি করা হবে। তার দেওয়া তথ্য সংরক্ষণ আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জৈনক ব্যক্তি জানান, সরকারি গুদামের সরকারি চাল নির্ধারিত মূল্য থেকে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে বেসরকারি বস্তায় মোড়কজাত করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবেই সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন ধরনের ব্যবসা চালিয়ে আসলেও কোন তদারকি নেই বলে জানানো হয়।
রাবেয়া খাতুন হাফেজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি শফিকুলি ইসলাম জানান, বরাদ্দ পাওয়ার পর সেই চাল এর ডিও ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। ‘রাবেয়া খাতুন হাফেজিয়া মাদ্রাসা’র সভাপতির নামে জিআর’র ১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাহমাদুল হাসান।
বিকেল সাড়ে ৬টায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মোহাম্মদ আলী জানান, খাদ্য গুদাম থেকে চাল বের করে দেওয়ার পর, কি করা হয় জানিনা। তবে বেসরকারি বস্তায় সরকারি চাল মোড়কজাত করে বেশি দামে বিক্রি করা ভোক্তাদের সাথে প্রতারনঅর সামিল।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার(চলতি দায়িত্বে) সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুয়েল আহমেদ জানান, বিষয়টি জানার পর খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
প্রিন্ট