বাংলাদেশের অব্যাহত সামগ্রিক উন্নয়ন, অনুন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া ও চ্যালেঞ্জের ওপর ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান কমিশনের সামনে বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে এক মানববন্ধন, শান্তি সমাবেশ ও পরবর্তীতে ইউরোপিয়ান প্রেস ক্লাবে “বাংলাদেশ পৃথিবীর উন্নয়নের রোল মডেল এবং চ্যালেঞ্জ” এর ওপর সিভিল সোসাইটি ,উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
শান্তি সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রক্তের ও আদর্শের উত্তরাধিকার বিশ্ব শান্তির নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দলগুলো নিয়ে গঠিত সরকার যখন বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন, শিক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন , নারীর ক্ষমতায়ন, রপ্তানিমুখী অর্থনীতি, গণতন্ত্র, মানবাধিকারের সুরক্ষা , স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার , পররাষ্ট্রনীতিতে “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয় ” ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাঙালিকে গর্বের জাতিতে পরিণত করেছে ঠিক তখনই বিএনপি জামায়ত শক্তি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে এবং সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সর্বদলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে সুষ্ঠ নিরেপক্ষ শান্তিপূর্ন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নের সম্মুখীন করছে ।
বক্তারা বলেন, তাদের এই অব্যাহত অপপ্রচার কে রোধ করা যে কোন নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাদের এই অপপ্রচার বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। শান্তি সমাবেশের বক্তারা সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে এই সব অপপ্রচার বন্ধ করে , নিজেদের এজেন্ডা নিয়ে জনগনের কাছে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান। সুষ্ঠ নিরেপক্ষ , শান্তিপুর্ন নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেশের সাবিক উন্নয়নের পরিপূরক ।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডাকে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও তিন লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে সমস্ত সূচকে উন্নত করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। বিশ্বের অন্যান্য আধুনিক গণতাত্রিক দেশগুলোর নির্বাচন প্রক্রিয়ার মতো বর্তমান সরকারের অধীনে সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে এটার কোন বিকল্প নাই।
বক্তারা সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ন নিরেপক্ষ নির্বাচন সুনিশ্চিত করার জন্য বিদেশের বন্ধুদের কাছে অভিযোগ না করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সংলাপের আহব্বান জানান এবং দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি শান্তির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশের উন্নয়নের পরীক্ষিত বন্ধু হিসাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতি আহবান জানান ।এই মর্মে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে স্মারকলিপি দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক আন্দ্রে ভরমৌত, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদুল হক,সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতন, সহসভাপতি হুমায়ুন মাকসুদ হিমু, উপদেষ্টা খোকন শরীফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাউদ খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক আখতারুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক ও শান্তি সমাবেশের সংগঠক রাইসুল ইসলাম রাসেল , শান্তি সমাবেশের সংগঠক মুশের্দ মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি ফিরোজ হাওলাদার বাবুল, বিশিষ্ঠ ব্যাবসায়ী কাজী রমুজ , বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ কমুনিটির নেতৃবৃন্দ।
শান্তি সমাবেশের পর ব্রাসেলস প্রেস ক্লাবে, প্রখ্যাত সাংবাদিক ইউ ক্লাইমেট প্যাক্ট এম্বাসেডর ও বাংলাদেশ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অন্যতম সংগঠক আন্দ্রে ভরমৌতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশ রোল মডেল ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ইন দি ওয়ার্ল্ড এন্ড চ্যালেঞ্জ”শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরাষ্ট্রমন্ত্রীড. আবদুল মোমেনের ভিডিও বক্তব্য ও বাংলাদেশের উন্নয়ূনের ওপর একটা প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
মূল বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ‘ইউ টুডে’ সংবাদপত্রের প্রখ্যাত সাংবাদিক গ্যারি কার্ট রাইট , বিশেষ বক্তা হিসাবে বক্তৃব্য দেন বিশিষ্ট সাংবাদিক বিকাশ বড়ুয়া চৌধুরী।
আরো বক্তৃব্য রাখেন বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতন,সেমিনারের সংগঠক মুর্শেদ মাহমুদ , সহসভাপতি হুমায়ুন মাকসুদ হিমু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাউদ খান সোহেল।
সেমিনারে ইউরোপিয়ান সাংবাদিক, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, ইউ প্রতিনিধি গণ, সিভিল সোসাইটির ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট