ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বসতভিটায় মিন্টুর শখের বাগান

বসতভিটায় ফল,ফুল জালানি ও ঔষধি গাছের বাগান করে সফলতা পেয়েছে আত্রাইয়ের ইকরাইল হোসেন মিন্টু।বসতভিটায় প্রায় ১৫ শতক জায়গায় তার শখের বাগানে এখন সোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশী ২০ ধরনের গাছ।কয়েক ধরনের মসলা গাছ,ফল,ফুল,জালানি ও ঔষধি গাছ। তার এই বাগান দেখে উৎসাহী হচ্ছেন এলাকার অনেকেই।

আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মিন্টু।ভবাণীপুর জি এস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পর জমি জমা দেখা শোনার পাশাপাশি ২০১৫ সালে নিজের বসতভিটায় এ বাগান শুরু করে।স্হানীয় কয়েকটি নারর্সারি আত্রাই,নওগাঁ সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দেশী বিদেশি ২০ প্রজাতির প্রায় ৫০ টি ফল,ফুল মসলাও ঔষধি গাছ সংগ্রহ করে বাগান তৈরি করেছেন। এরপর থেকে তার নিরলস প্রচেষ্টায় ৬ বছরে বাগানে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য ফল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আমরা স্বদেশী আমলকী, আম, জাম, কাঁঠাল, বনকাঁঠাল, স্বদেশী লেবু, চায়না লেবু, লটকন,লিচু, বাদামী লেবু, বড় বেল, কদবেল, পেয়ারা, বরই, শরিফা, আতা, চয়না জামবুরা ডালিম, তেঁতুল, ডাব, খেজুর, সবেদা, কামরাঙ্গা, জলপাই মালটা ফলের গাছে সমৃদ্ধ তার বাগান।

এছাড়া চন্দন এলাজ, তেজপাতা জাতীয় মসলা বকুল, বেলি, শিউলি, রজনীগন্ধা, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ মাধবীলতা, রঙ্গন, গোলাপ, ফুলের গাছ এবং মিশ্রি দানা, বালিকমূল, সতমূল, ভিমকুমরা, জাতিয় ঔষধি গাছ রয়েছে মিন্টুর বাগানে।

মিন্টু বলেন ছোট বেলা থেকে তিনি বৃক্ষ প্রেমিক। গাছের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এ বাগানের জন্ম।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ফরমালিন মুক্ত ফল পাওয়ার আশায় এ বাগান করা তার। পরিবারের চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী ও আত্মীয় দের দেওয়া হয় এ বাগানের ফল।তিনি আরও জানান দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ফল গাছ সংগ্রহ করতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।মিন্টুর বাগান দেখে উৎবুদ্ধ হয়ে বাগান করেছে তার প্রতিবেশী বেলাল হোসেন। তিনি বলেন আমি মিন্টুর কাছে থেকে ফুল ও ফলের চারা বিনা মূল্যে সংগ্রহ করে বাগান তৈরি করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ তপন কুমার বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বসত বাড়ি বা যেকোন ফাকা জায়গায় বাগান করতে গুরুত্বআরোপ করা হয়েছে।এ ব্যাপারে উঠান বৈঠক ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে উৎসাহী করা হচ্ছে।এছাড়া কেউ বাগান করতে আগ্রহী হলে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বসতভিটায় মিন্টুর শখের বাগান

আপডেট টাইম : ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
মোঃ আব্দুল জব্বার, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :

বসতভিটায় ফল,ফুল জালানি ও ঔষধি গাছের বাগান করে সফলতা পেয়েছে আত্রাইয়ের ইকরাইল হোসেন মিন্টু।বসতভিটায় প্রায় ১৫ শতক জায়গায় তার শখের বাগানে এখন সোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশী ২০ ধরনের গাছ।কয়েক ধরনের মসলা গাছ,ফল,ফুল,জালানি ও ঔষধি গাছ। তার এই বাগান দেখে উৎসাহী হচ্ছেন এলাকার অনেকেই।

আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মিন্টু।ভবাণীপুর জি এস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পর জমি জমা দেখা শোনার পাশাপাশি ২০১৫ সালে নিজের বসতভিটায় এ বাগান শুরু করে।স্হানীয় কয়েকটি নারর্সারি আত্রাই,নওগাঁ সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দেশী বিদেশি ২০ প্রজাতির প্রায় ৫০ টি ফল,ফুল মসলাও ঔষধি গাছ সংগ্রহ করে বাগান তৈরি করেছেন। এরপর থেকে তার নিরলস প্রচেষ্টায় ৬ বছরে বাগানে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য ফল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আমরা স্বদেশী আমলকী, আম, জাম, কাঁঠাল, বনকাঁঠাল, স্বদেশী লেবু, চায়না লেবু, লটকন,লিচু, বাদামী লেবু, বড় বেল, কদবেল, পেয়ারা, বরই, শরিফা, আতা, চয়না জামবুরা ডালিম, তেঁতুল, ডাব, খেজুর, সবেদা, কামরাঙ্গা, জলপাই মালটা ফলের গাছে সমৃদ্ধ তার বাগান।

এছাড়া চন্দন এলাজ, তেজপাতা জাতীয় মসলা বকুল, বেলি, শিউলি, রজনীগন্ধা, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ মাধবীলতা, রঙ্গন, গোলাপ, ফুলের গাছ এবং মিশ্রি দানা, বালিকমূল, সতমূল, ভিমকুমরা, জাতিয় ঔষধি গাছ রয়েছে মিন্টুর বাগানে।

মিন্টু বলেন ছোট বেলা থেকে তিনি বৃক্ষ প্রেমিক। গাছের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এ বাগানের জন্ম।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ফরমালিন মুক্ত ফল পাওয়ার আশায় এ বাগান করা তার। পরিবারের চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী ও আত্মীয় দের দেওয়া হয় এ বাগানের ফল।তিনি আরও জানান দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ফল গাছ সংগ্রহ করতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।মিন্টুর বাগান দেখে উৎবুদ্ধ হয়ে বাগান করেছে তার প্রতিবেশী বেলাল হোসেন। তিনি বলেন আমি মিন্টুর কাছে থেকে ফুল ও ফলের চারা বিনা মূল্যে সংগ্রহ করে বাগান তৈরি করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ তপন কুমার বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বসত বাড়ি বা যেকোন ফাকা জায়গায় বাগান করতে গুরুত্বআরোপ করা হয়েছে।এ ব্যাপারে উঠান বৈঠক ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে উৎসাহী করা হচ্ছে।এছাড়া কেউ বাগান করতে আগ্রহী হলে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।


প্রিন্ট