ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় কাঁচামরিচের আড়তে ভোক্তাঅধিকারের অভিযানের পর কেজিতে কাচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা।
সোমবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ এর নেতৃত্বে মধুখালী উপজেলার কাঁচা মরিচের কৃষক পর্যায়ের আড়ত এবং চিনির পাইকারি ও খুচরা দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এই অভিযানের পরেই মরিচেন দর নেমে যায় ১৭৫ টাকায়।
অভিযানে আড়তে কাঁচা মরিচের অধিক দাম রাখা, ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না থাকা, এবং মূল্য তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করার অপরাধে মেসার্স জান্নাত ভান্ডারকে ২০০০ টাকা, মেসার্স মোল্যা ট্রেডার্সকে ২০০০ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
এছাড়াও চিনির দাম ধার্য্যমূল্য থেকে বেশি রাখায় মেসার্স সুধর্ন্য স্টোরকে ৫০০০ টাকা এবং মিষ্টি জাতীয় পণ্য উৎপাদনে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রন করায় গণেষ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ৫০০০ টাকা ও সাহা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ২০০০ টাকা সহ মোট ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬,০০০ টাকা অর্থদন্ড আরোপ করা হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে দশ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ বজলুর এবং জেলা পুলিশের ১টি টিম এবং সংশ্লিষ্ট বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
ফরিদপুরের ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক সোহেল শেখ জানান, আমাদের এই অভিধান জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জনস্বার্থে করা হয়। আমরা মধুখালীতে মরিচের আড়ত ও চিনির পাইকারি দোকানে বিভিন্ন অভিযোগে পাচটি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ হাজার টাকা অথদন্ড করেছি। তিনি জানান ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রিন্ট