গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর হামলা এবং ব্যানার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলার ঘটনায় বিএনপি ও ছাত্রদলের ২০ নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে (২৯ জুন) দুপুরে ছাত্রলীগ কর্মী মো: তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবু বকর মিয়া মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামীরা হলেন, মুকসুদপুর উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামের নাসির খান (৩০), কাইয়ূম মুন্সী (৪০), রাজু খান (২৩), হানিফ মুন্সী (৪৮), আশিক মুন্সী (২৬), মেহেদী মুন্সী (২০), লখাইচর গ্রামের হাবিবুর রহমান রইন (২৬), মো: সানি (১৮), মিনাল মাতুব্বর (২১), টেংরাখোলা গ্রামের স্বপন মোল্যা (৪৩), আশিক মীর (২৩), মিন্টু শরিফ (২৩), কাইয়ুর শরীফ (৪০), গোপীনাথপুর গ্রামের বিপ্লব মিয়া (৪৫), নিশাম মিয়া (৩৫), মহসিন মোল্যা (২৩), মাহফুজ মৃধা (৪৫), চন্ডীবর্দী গ্রামের সাইফুজ্জামান লিটন (৪৫), অন্তর বিশ্বাস (২৩) ও গোবিন্দপুর গ্রামের মনির (২০)। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ৩০জন। এরা সকলে মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, গত বুধবার (২৮ জুন) রাতে ছাত্রলীগ কর্মী মো: তারিকুল ইসলাম তার অপর আরো দুই সহযোগী আব্দুর রাজ্জাক ও রবিউল শেখকে সাথে নিয়ে চন্ডিবর্দী ব্রীজ থেকে গেড়াখোলা ব্রীজ পযর্ন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে ঈদ শুভেচ্ছা সম্বলিত ব্যনার ও ফেস্টুন লাগান।
এসময় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ওই সব ব্যানার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে পৌঁছে ফেস্টুন ছেড়ার কারন জানতে চান। এসময় বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মীরা হামলা চালিয়ে মারধর করলে ছাত্রলীগের ওই তিন কর্মী মারাত্মক আহত হন। পরে খবর পেয়ে ছাত্রলীগের অন্যান্য কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী মো: তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের ২০ নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামী করে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর মিয়া জানান, ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর হামলা ও ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের ২০ নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রিন্ট